পাতা:বভ্রুবাহন - ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ.pdf/৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

रक्वांश्न। i RS উলুপী। কৈ ঠাকুর তাত আমি বুঝতে পারিনি। নারদ। তুমি পারনি মা, আমি পারছি। - অনন্ত । না, এ * বেটার • জ্যোতিষ্ক আমাকে আর টেকতে দিলে না। তুই বুঝতে পারিসনি সৰ্ব্বনেশে মেয়ে আমি বুঝেছি। - আজকে তার এক কথাতেই বুঝেছি। তুই তাকে আমার হাতে ফেলে বনে বনে ঘুরলি, ছেলেকে বুকে করে মানুষ করলুম, বেটুর ছেলে কি না মায়ের এক কথাতেই তেউড়ে গেল ! এত সাধ্যসাধনা করলুম। সোজা হ’ল না ! মা ছুটিল, ছেলেও কি না তার সঙ্গে সঙ্গে ছুটিল ! নারদ । তারপর শোনা বাছা তোমার স্বামী বিদেশেউলুপী। তা থাক, তাতে আমার দুঃখ কি ? * নারদ । তোমার দুঃখ নয়, কিন্তু তার দুঃখ । পতিবল্লভে । তোমার স্বামীর সাৰ্ব্বদা আকিঞ্চন, কি করে তোমার সঙ্গে সম্মিলিত হন – কিন্তু স্বামীর কাৰ্য্যহানি হবার ভয়ে তুমি ভগবানের কাছে নিত্য প্রার্থনা কর স্বামী যাতে তোমাকে ভুলে যান! অনন্ত । ওরে বেটী, এই তোমার দুঃখু! উলুপী। আমি যে নাগনন্দিনী ঠাকুর। তিনি স্বর্গের মানুষ আর আমি পাতালের। তিনি আলোকময় রাজ্যের রাজা, আর আমি ঘনান্ধকারের চির সহচরী । আমার কথা স্মরণে এলেও যে তঁা’কে জ্যোতিহীন হতে হবে ঠাকুর। নারদ। নাগনন্দিনী! তোমার এত প্রার্থনা স্বত্ত্বেও স্বামী তোমার চিন্তা করেন। আর তার প্রতিকারের উপায় হয় না বলে এতোমার মনে থাকে থাকে অমঙ্গল চিন্তা ওঠে । উলুপী। সেটা মিছেতো ঠাকুর।