পাতা:বভ্রুবাহন - ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

दअज्र्वश्न । NOS নারদ। তোমার অদৃষ্টর ফলে তুমি রাজা হলে আমি কি করবো নাগরাজ ! ইলা। মা উন্মদিনী ছুটে গেল, দাদা উন্মাদের মত ছুটে শ্বেল, আমি এ দারুণ বিয়োগে কোথায় কঁাদব, না মাথা তুলতে দেখি { মীথায় বিষম রাজ্যভার! একি লীলা দেখােচ্ছ"ঠাকুর! ! নারদ। আমি কি দেখাই ভাই, লীলাময়ের ইচ্ছু, বাধ্য হয়ে আমায় দুেখাতে হয়। ইলা । বেশ, তবে লীলাময়ের ইচ্ছাধীন হয়ে আমিও বলিসে লীলাময়ের মণি, লীলাময়কে ফিরিয়ে দিও। আমায় আর কোন মণি দিতে বল-বলে দাও ঠাকুর কি মণির অধিকারী হয়ে দৈত্যকুলনন্দন প্ৰহলাদ শৈলশিখর হতে পতিত হয়ে, অজগর মুখে, মস্তক সমৰ্পণ করে, অনলে, সাগরজলে, হস্তীপদতলে আত্মরক্ষা করেছিল। বলে দাও কি মণির অধিকারী সে সমস্ত দৈত্যকুলে প্ৰাণ ছড়িয়ে ছিল। শুদ্ধমাত্র একজনের প্রাণরক্ষা হয়, এমন তুচ্ছ মণি দিয়ে আমায় ভোলাতে এসেছি। শীঘ্ৰ বলে দাও নতুবা তোমার বন্ধন মোচন হবে না । ( পদধারণ) নারদ । আয় ভাই-আয় তোরে দান করি। সে মণিতে বিশ্বস্তরের ভার । আমি এক বইতে পারি না । তার প্রভায় আমার হৃদয় কলসে গেল-আমি এক সামলাতে পারছি না। ইলা । কৈ দাও । • নারদ। সে মণি হাতে দেবার নয়। কাণ দিয়ে প্রবেশ করিয়ে হৃদয়ে গোপুনে স্থাপন করতে হয়। নে হাঁটু গেড়ে ব’স।-বিশ্বব্ৰহ্মাণ্ড যার আলোকে উদ্ভাসিত, আয় বালক আজ সেই মণি তোকে দান করি। (মন্ত্ৰ প্ৰদান) কি ভাই, মণির গুণ অনুভব করতে পারছিস ?