পাতা:বভ্রুবাহন - ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ.pdf/৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঈল। এই ঠাকুরাইতো আমায় বলে দিয়েছে, যখন যা করবে। তোমার মামার মত নিয়ে করবে। পুণ্ড । ঠাকুর, বালক বোঝাতে পারছে না, আপনিই দয়া করে ওর মনের ভাবটা একবার প্রভুকে বুঝিয়ে দিন না। অৰ্জ্জুন। ও ঠাকুর-করেছ কি! খুঁজে খুঁজে এই বালকটীকে ধরে তা’র মস্তকটা ভক্ষণ করেছা! নারদ। যে রাক্ষসী বিদ্যা উদরে পূরেছি, ত’তে এই রকম দুই একটা কচি ছেলের মস্তক মাঝে মাঝে ভক্ষণ না করলে অজীর্ণ রোগাক্রান্ত হতে হয়, বায়ু বৃদ্ধি হয়। ওরে বালক ! তোর মনের কথাটা কি সৰ্ব্বসমক্ষে একবার প্রকাশ করেই বল না । ইলা । তবে শোন মামা ! দেশে যেতে বল দেশে যাব, ঘোড়ার পেছন পেছন যেতে বল তাই যাব, ঘোড়ার সঙ্গে যেতে দিলে সাধ্যমত ঘোড়া রক্ষা করবো। রাজ্যে যদি ফিরি, আর ঘুরতে ঘুরতে ঘোড়া যদি সে স্থানে উপস্থিত হয় তাহ’লে ঘোড়া ধরবো, জীবন পণ ঘোড়া ছাড়ব না। কৃষ্ণ । সেকি ! তাহ’লে মহারাজের কাছে একথা কসনি , কেন দুষ্ট ছেলে ! নারদ। জনাৰ্দন! অসাধারণ বুদ্ধিকৌশল দেখিয়ে ভীষণ কুরুক্ষেত্ত্বে ক্ষত্ৰিয়কুল নিৰ্ম্মল করলে, আর এই ক্ষুদ্র বালক এতক্ষণ সতৃষ্ণ নয়নে তোমার মুখের পানে উত্তরের প্রতীক্ষায় চেয়ে রইল—কেন রইল তুমি বুঝতে পারলে না ? বাসুদেব ছিল । করা-কিন্তু লোক বুঝে করা। বালককে নিয়ে এ খেলা ভাল দেখায় না। ইলা। যখন বৰ্ব্বরের দেশে ছিলুম, তখন জানতুম গুরুজন