পাতা:বভ্রুবাহন - ক্ষীরোদপ্রসাদ বিদ্যাবিনোদ.pdf/৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বলরুবাহন । করেছে। আর মেয়ে যদি আমার মরে থাকে-আর তাইই নিশ্চয়! তাহ’লে তুই তার মূৰ্ত্তি ধরে পিশাচী। যা, অন্যত্র যা এখানে আর আসিসনি। আমি মেয়েকে পাবার জন্য হরিকে ডেকেছিলুম, হরি আমাকে মেয়ে ভুলিয়ে, বিষয় ভুলিয়ে আত্মাদুন कलछन-अनाम गा । 棘 উলুপী। তাহ’লে আমার কথা শুনবে না ? সুনন্ত। উলুপী। দেশে ফিরছ না ? অনন্ত। কিছুতেই না। রাজ্যের প্রলোভন, ইলাবস্তের প্রলোভন, কন্যার প্রলোভন, স্বৰ্গসুখের প্রলোভন—“কিছুতেই না। ( প্ৰস্থানোস্থ্যত ) ৷ উলুপী। হরিপরায়ণ! যেতে যেতে একটা কথা শোন। নরক ভীষণ, না মরণ ভীষণ ? অনন্ত। মরণকে ভয় করতে হয় এই প্ৰথম শুনলুম। উলুপী। আর নরক ? অনন্ত । নাম শুনলে সৰ্ব্বাঙ্গ শিউরে ওঠে। ] উলুপী। তবে শোন পিতা! স্বামীকে নরক হতে নিস্তার দেবার জন্য, তার মরণের ভার নিজ হস্তে গ্ৰহণ করেছি। প্রেতিনীই বল আরুপিশাচীই বল, এ পথ থেকে আমাকে কেউ নিবৃত্ত করতে পারবে না। সহস্ৰ জন্ম যদি নুরকে নিক্ষিপ্ত হই। তবু ফিরবো না । তুমি শুধু আশীৰ্ব্বাদ করা যেন আমি নিঃসঙ্কোচে স্বামীহত্যা করতে পুরি। আর বল হরিপরায়ণ, হরির কাছে প্রার্থনা কর, যেন আমার স্বামীর পারিত্রিক মঙ্গল হয়। সৃষ্টিকাল থেকে আরম্ভ করে মানুষে আপন আপনি স্বৰ্গপ্রাপ্তির জন্যই ভগবানের আরাধনা