পাতা:বর্ত্তমান জগৎ তৃতীয় ভাগ.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লড়াইয়ের সময়ে শ্রমজীবী সম্প্রদায় । \ΟΣ অবস্থা বিশেষ রূপেই সহজ সরল ও স্বাভাবিক রাখিবার জন্য চেষ্টত হইতে হয়। আবার এই জন্যই শত্রুপক্ষীয় লোকেরা গুপ্তচর রাখিয়া দেশের কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্যের ভিতর নানা প্ৰকার গোলযোগ সৃষ্টি করিতে প্ৰবৃত্ত হন। ভাতে মারিতে পারিলে শত্রুপক্ষকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরাজিত করিবার জন্য বিশেষ বেগ পাইতে হয় না। সুতরাং কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্য শত্রুর আওতা হইতে রক্ষা করিতে না পারিলে যুদ্ধের আসরে অবতীর্ণ হওয়া ছেলেমানুষী মাত্র। জাৰ্ম্মাণি, রুশিয়া, ইংল্যণ্ড, ফ্রান্স সকলেই নিজ নিজ মজুর সম্প্রদায়কে তাহাদের চিরাভ্যস্ত কৰ্ম্মে নিযুক্ত রাখিবার জন্য প্ৰাণপণে চেষ্টা করিতেছেন। কৃষি, শিল্প ও বাণিজ্যের অনুষ্ঠানগুলি এক এক দেশে এক এক প্রকার। কাজেই বৰ্ত্তমান কুরুক্ষেত্ৰসময়ের প্রতিদ্বন্দ্ৰিগণ নিজ নিজ অবস্থা অনুসারে ব্যবস্থা করিতেছেন । ইংরাজের প্রথম আবশ্যক বিদেশ হইতে খাদ্য দ্রব্য এবং শিল্পোপকরণের আমদানী। এই আমদানী নিয়মিতরূপে না হইলে প্ৰথমতঃ সকলকেই না খাইয়া মরিতে হইবে, এবং দ্বিতীয়তঃ শিল্পের কারখানাগুলি উপকরণাভাবে বন্ধ থাকিবে, অর্থাৎ লক্ষ লক্ষ নরনারীকে “জবাব দেওয়া” হইবে। যুদ্ধের সময়ে মাল আমদানী করা ত সহজ কথা নয়। বিদেশের মহাজনের দাম না পাইলে মাল ছাড়িবেন কেন? শান্তির সময়ে মুখের কথায় ও কোম্পানীর কাগজে বিশ্বাস করিয়া দুনিয়ার লেনদেন চলিয়া থাকে। কিন্তু এখন নগদ টাকা চাই । নগদ টাকা না পাইলে মাল কেহই বেচিবে না। অবশ্য বৰ্ত্তমান ক্ষেত্রে ইংরাজকে ধারে বেচিতে কোন দেশের লোকই বেশী। আপত্তি করিতেছেন না! কোম্পানীর কাগজ, বিল অব এক্সচেঞ্জ ইত্যাদির জোরেই মাল ছাড়া হইতেছে। কিন্তু মাল বিলাত পৰ্য্যন্ত পৌছিবে কি করিয়া ? ? . .