वर8शन ऊ१९ 2 ܓ݁ܶ. ইউগ্যাণ্ডায় কৰ্ম্ম করেন। ইউগ্যাণ্ডা বিলাতের উপনিবেশ-সচিবের অধীনে শাসিত হয় । এতদ্ব্যতীত একজন ভারতীয় সিবিল সার্ভিসের কৰ্ম্মচারী ও এক টেবিলে খাইতে বসিয়াছেন । ইহঁদের সকলের সঙ্গেই কথাবাৰ্ত্তা চলিতে লাগিল । অধ্যাপক রোজ আধুনিক ইউরোপীয় ইতিহাসের অধ্যাপক । ফরাসী বিপ্লব এবং নেপোলিয়নের যুগ ইহঁ।ার প্রধান আলোচ্য বিষয়। এ সম্বন্ধে ইনি গ্ৰন্থ রচনাও করিয়াছেন। ইনি কেন্থি 'জ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাপদ্ধতি এবং . পরীক্ষা-প্ৰণালীর তীব্র সমালোচনা করিলেন। ইনি বলেন, “বৎসরান্তে একটা পরীক্ষার দ্বারা ছাত্রের ভবিষ্যৎ নির্দিষ্ট করিয়া দেওয়া ঠিক নয়। বহু ভাল ছেলে এরূপ পরীক্ষায় সুফল দেখাইতে পারে না। অামি অনেক ছাত্রের সঙ্গে আলাপ করিয়া দেখিয়াছি, তাহারা কোন হিসাবেই নিকৃষ্ট নয় । দৈনিক পাঠ-চৰ্চা তাহারা ভালরূপই করিয়া থাকে জানি । কিন্তু বাৎসরিক পরীক্ষার সময়ে তাহদের মাথা গুলাইয়া যায় । যদি প্রতিদিনকার পাঠের মূল্য অনুসারে বাৎসরিক ফল নিরূপিত হইত অথবা শিক্ষকগণের মতামত গৃহীত হইত, তাহা হইলে ছাত্রদিগের দুশ্চিন্তা ও ভয় থাকিতে না । কিন্তু এক্ষণে ভাল ছেলেদের সর্বদ উদ্বিগ্নভাবে জীবন কাটাইতে হয়,। প্ৰথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ হওয়া তাহদের জীবনের সাধা। কিন্তু হয়ত দৈবক্রমে তাহা না হইতেও পারে । অথচ প্ৰথম শ্রেণীতে উত্তীর্ণ না হইলে তাহদের ভবিষ্যৎ অন্ধকারময় ।” ছাত্ৰগণের ভবিষ্যৎ জীবন সম্বন্ধে কথা উঠিবামাত্র অন্যান্য ডানেরা বলিলেন, “এ একটা বিষম সমস্যা । আমরা অনেক ছাত্রের সঙ্গে সরল ভাবে মিশিয়া দেখিয়াছি, তাহারা কেহই কোন নির্দিষ্ট লক্ষ্য অনুসারে পঠদ্দশ্য অতিবাহিত করে না । ডিগ্রি লাভের পর তাহারা যে কি করিবে কেহই জানে না।” অধ্যাপক রোজ বলিলেন, “এ সমস্যা কেবল ।
