পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/৩০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Roʻ বর্তমান জগৎ কোন প্ৰকোষ্ঠে জীবনহীন যীশুর শয়না বস্থা দেখিতে পাইলাম ? প্ৰকোষ্ঠের ভিতর খ্ৰীষ্টান যাত্রীরা হাঁটু পাতিয়া প্রার্থনা করিতেছেন । গির্জার সর্ব পূর্বাংশে প্ৰধান দেবালয় । সাধারণের সেখানে প্ৰবেশ নিষেধ। সম্মুখ হইতে দেখিলাম, প্রস্তরময়ী মেরী মূৰ্ত্তি—যীশু তাহার ক্ৰোড়ে। আমরা ভগবতীর চালি দূর হইতে যেরূপ দেখিয়া থাকি, এই মূৰ্ত্তিও সেইরূপ দেখিলাম। র্যাহারা মূৰ্ত্তি পূজা করিয়া ভগবানের আরাধনা कब्रिल्ड अ डार्ट ऊँटाब 6ई মেরীমূৰ্ত্তিতেও মাতৃভাবের পরাকাষ্ঠী। দেখিতে পাইবেন । খ্ৰীষ্টানেরা নিতান্ত কুসংস্কারপূর্ণ না হইলে হিন্দু দেবদেবী१०८ क७ डडिे क द्धिgड द६J । মন্দিরের সকল ভাগই অন্ধকারময় । আলোক প্রবেশের ব্যবস্থা নাই দেখিলাম। ভাবিলাম, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরেরই বা দোষ কি ? প্ৰাচীনকালে গ্ৰীসদেশের ‘আরেকল বা দেবতার আদেশও এইরূপ আলোকবিহীন দেবালয় হইতে বাহির হইত । বিশ্বের চরম সত্য অজ্ঞেয়। অথৰ অজ্ঞাত বলিয়াই কি দেবমন্দির নিৰ্ম্মিাণ সম্বন্ধে সকল দেশের কারিগরই এক আদর্শ গ্ৰহণ করিয়াছিলেন ? যাহাকে পাইতে হইবে তাহ! অনেক অন্ধকারের মধ্যে বিলীন । তাহার জন্য বহু অজানা দুৰ্গম পথের ভিতর দিয়া চলিতে হইবে। ইহা বুঝাইবার জন্যই কি মন্দির নিৰ্ম্মাণের এই রীতি ? দেবদেবীগণের বর্ণ-কল্পনায়ও কি এইরূপ কোন অর্থ VICI ? মন্দিরের প্রকোষ্ঠীগুলির ভিতর দেখিলাম, অসংখ্য মেডেলাকৃতি গোলাকার পুষ্পপাত্র। সংবাদ লইয়া জানিলাম, মন্দিরে আসিয়া তীর্থযাত্রীরা ঐ সমুদয় স্মরণচিহ্ন রাখিয়া গিয়াছেন। ভগবানের নিকট কৃপা ভিক্ষা করিবার সাক্ষ্যম্বরূপ। ঐ সমুদয় পদার্থ রক্ষিত হইতেছে। হিন্দুগণের নিকট পূজার অর্ঘ্য অপরিচিত নয়। রোমাণ ক্যাথলিক ও খ্ৰীষ্টানের