পাতা:বর্ত্তমান জগৎ দ্বিতীয় ভাগ.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ve दर्श्वभॉन ख९ মধ্যে ইংরাজী জানা লোক অত্যন্ত বিরল। কোন কোন বড় ষ্টেসনে। ইংরাজী-ভাষী ফরাসী কৰ্ম্মচারী একজন করিয়া আছেন মাত্র। প্ৰায় হোটেলেই ইংরাজী জানা লোক নাই। এত পাশাপাশি দুই জাতি পরস্পর পরস্পরের সঙ্গে ভাববিনিময় করে কি করিয়া তাহাই ভাবিতে লাগিলাম। মনে হইল, সমগ্ৰ আৰ্য্যাবৰ্ত্ত-প্রদেশে ভাষার অনৈক্য কখনই এত বেশী নয়। হিন্দীভাষী বাঙ্গালী, এবং বাঙ্গালা-ভাষাভিজ্ঞ হিন্দুস্থানীর সংখ্যা বেশ সন্তোষজনক । বিশেষতঃ, উত্তর ভারতের তীর্থক্ষেত্রগুলিতে সৰ্ব্বভারতীয় লোকসমাগমের ফলে ভাবের আদান প্ৰদান অতি সুসাধ্য। ভারতের প্রাচ্যখণ্ড হইতে কোন বাঙ্গালী পশ্চিম দিকে ভ্ৰমণ করিতে বাহির হইলে এমন কি পাঞ্জাব প্ৰদেশ পৰ্য্যন্তও বিশেষ কষ্ট পাইবেন না। কিন্তু ইংরাজ ফরাসীর দেশে আসিলে অতল সমুদ্রে পড়িয়া থাকেন। ইউরোপীয় সমাজে ঐক্য অধিক, কি ভারতীয় সমাজে ঐক্য অধিক ? প্যারি ছাড়াইয়া আমরা বোলো, বন্দরের অভিমুখে ছুটিলাম। পথে আমিয়েন্স-নগর এবং ইণ্ডেপাল বন্দর পড়িল। এই অঞ্চলের প্রাকৃতিক দৃশ্য দক্ষিণ অঞ্চল হইতে কথঞ্চিৎ পৃথক। অসমতল কৃষিক্ষেত্রই এদিকে বেশী । কিন্তু চাষ-প্ৰণালী, কৃষিক্ষেত্রে ব্যবহৃত কল, কৃষকজীবন, ইত্যাদি সবই এক প্রকার। আমাদের দেশে রেল-পথের পার্শ্বে ধোপারা ক্ষুদ্র জলাশয়ে কাপড় চোপড় কাচিয়া থাকে। ফ্রান্সেও এইরূপ দেখা গেল । ধনবিজ্ঞানের মামুলি গ্রন্থগুলি পাঠ করিলে মনে হইবে ইউরোপে শিল্পই প্রধান, কৃষিকৰ্ম্ম ভারতবর্ষের একচেটিয়া অন্নসংস্থানের পথ। ভারতবর্ষে শিল্পের অভাব, ইউরোপে কৃষির অভাব ! পাশ্চাত্য জগতের কথা। উঠিলেই আমরা 13ts "industrialism, শিল্প-কেন্দ্ৰ, बद्ध वज्र कुन