পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R बéभन्म स्त्र १९ হিন্দুস্থানী, পার্শী, পাঞ্জাবী, গুজরাতী, মুসলমান-নানা প্রকার ভারতসস্তানই এই জাহাজের আরোহী । মুসলমানদের মধ্যে কেহ কেহ এডেন পৰ্য্যন্ত যাইবোন-কেহ কেহ পোট সৈয়দে নামিয়া মিশরে যাইবেন । ইহারা প্ৰায়ই তীর্থ-যাত্রী । আর অন্যান্য সকলে ইউরোপ-ভ্ৰমণে বাড়ির হইয়াছেন—অধিকাংশই বিলাত পৰ্য্যন্ত। কেহ ব্যবসায়ু উপলক্ষ্যে, কেত স্বাস্থ্যের জন্য, কেহ বা বিদ্যালাভের উদ্দেশ্যে বিলাত যাইতেছেন। আমাদের প্রথম শ্রেণীর সহযাত্রীদিগের মধ্যে ভারতের একজন সর্বপ্ৰধান পণ্ডিত অন্যতম। তিনি বাঙ্গালী-বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্ৰন্মাবকাশে সুইজল্যাণ্ডে যাইতেছেন । সেখানে বসিয়া কিছু সাহিত্য-চৰ্চা করিবেন ইচ্ছা আছে। তাহার সঙ্গে কয়েক বাক্স পুস্তক চলিতেছে । আর একজন বোম্বাইয়ের ব্যারিষ্টার-বিখ্যাত পার্শীর সন্তান । বোম্বাই সহরে ইহঁরা ব্যবসায়-শিক্ষালয়ের প্ৰবৰ্ত্তক । ইনি সর্বসমেত ৮ ৯ বার ইউরোপে যা ওয়া আসা করিয়াছেন । আর একটি পাশী পরিবার আমাদের সঙ্গে চলিয়াছেন। প্ৰসিদ্ধ টাটা-প্রতিষ্ঠিত লৌহ কারখানার প্রধান তত্ত্বাবধায়ক। তঁহার ভ্রাতার সন্তান সন্ততিকে কলেজে ভৰ্ত্তি করিবার জন্য বিলাতে লইয়া যাইতেছেন । বিলাতে কয়েক দিন থাকিয়া ইনি আমেরিকা, জাপান, ম্যনিলা, ফিলিপাইন হইয়া বাবে ফিরিবেন । শাকচার কারখানায় তৈয়ারী লৌহ ও ইস্পাত সৰ্ব্বদেশে প্রচলিত করিবার জন্য এ যাত্রায় তিনি বাহির হইয়াছেন । প্ৰকাণ্ড জাহাজ কিন্তু চৌড়ায় আমাদের পদ্মার “য়্যালিগেটর,” “ক্রোকোডাইল” “কণ্ডার” প্রভৃতি ষ্টীমার অপেক্ষা বোধ হয় বেশী বড় নয়, লম্বায় প্রায় ইহাদের পাঁচ খানার সমান। জাহাজের মালিক ফরাসী কোম্পানী-কুলী, খালাশী, ইত্যাদি সকলেই ফরাসী ভাষায় কথা বলে । দুই চারিটি। ইংরাজী কথা ইহাদের কাহারও কাহার ও