পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ti o दéभान खत्री९ নগরেও ছিল বুঝিতেছি । কোন কোন গলিতে দেখিলাম-মাথার উপর বারান্দা ঝুলিতেছে, এবং দোতালার বা তিন তালার ছাদ বাড়াইয়া দিয়া গলির ছাদ প্ৰস্তুত করা হইয়াছে। এই ছাদের দ্বারা সুৰ্য্যের তাপ হইতে নীচের লোকেরা রক্ষা পায়। পথে বহু মসজিদ ও মসলিয়াম পড়িল। অনেকগুলিতেই গম্বুজ আছে। খানিক পরে আমরা প্ৰাচীন দুর্গে প্ৰবেশ করিলাম । ইহা সুলতান সালাদিনের সময়ে নিৰ্ম্মিত । পুরাতনের বড় বেশী কিছু অবশিষ্ট নাই -অধিকাংশই নূতন তৈয়ারী। আজকাল এখানে ইংরাজ-সৈন্য বাস করে। ইংরাজ সৈন্যের সংখ্যা ৪০ ০০ এর কিছু বেশী । মিশরে ইংরাজেরা শান্তি রক্ষার জন্য এই সৈন্য রাখিতে অনুমতি পাইয়াছেন । প্ৰতি রবিবার দুর্গে ইংরাজ-পতাকা উড়ান হয় -এবং শুক্রবারে মুসলমান নিশান উড়িতে থাকে । এই দুর্গ কাইরের সর্বোচ্চ স্থানে অবস্থিত- প্ৰায় পাহাড়ের মত উচ্চ ভূমির উপর ইহা নিৰ্ম্মিত । এখান হইতে কাইরো নগর অতি সুন্দর দেখায়। দুর্গের মধ্যে আমরা মহম্মদ আলির মসজিদ দেখিলাম। ইহাকে মৰ্ম্মর মসজিদ বলে । উনবিংশ শতাব্দীর প্রথম ভাগে মহম্মদ আলি মিশরে নবজীবন সঞ্চারিত করিতেছিলেন। তিনি ইউরোপের নানাস্থানে মিশরীয় ছাত্র পাঠাইয়াছিলেন। ইহঁরা ভাস্কৰ্য্য ও এজিনীয়ারিং বিদ্যায় পারদর্শী হইয়া আসিয়াছিলেন । র্তাহার সঙ্গে ফরাসী জাতির ও ফরাসী শাসনকৰ্ত্তাদিগের বিশেষ বন্ধুত্বও ছিল। এই কারণে ফরাসী প্ৰভাব তাহার আমলে মিশরে প্রবল রূপে প্ৰবেশ করে । এই মসজিদ আয়তনে দিল্লীর জুম্মা মসজিদের মত । আগ্রার সিকান্দ্ৰা হইতে ইহা বড়। মৰ্ম্মরের কাৰ্য্য হিসাবে ইহাকে তাজমহলের সঙ্গে তুলনা করা যাইতে পারে। কিন্তু শিল্পের রীতি হিসাবে ইহা ভারতীয়