পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Σ Σ. Ν. <éन् ख९ সর্বশেষে দক্ষিণ দিকে দৃষ্টিপাত করিলাম। পুরাতন প্ৰাচীরের চিহ্ন সর্বত্রই বিদ্যমান। ইষ্টক এবং আবর্জনার স্তুপের ত অন্ত নাই। সম্মুখেই চন্দ্ৰ-মন্দিব । তৎপাশ্বে খেজুর বন। পরে শ্যামল বৃক্ষ রাশির অভ্যন্তরে লুকুসরনগরের হৰ্ম্ম্যাবলী। সমস্ত মন্দির এবং চারিদিককার আবেষ্টন এক দৃষ্টিতে দেখিয়া সমগ্ৰ অট্টালিকার আয়তন ও পরিমাপের সম্যক ধারণা জন্মিল । একটা প্ৰকাণ্ড চতুভূজ ক্ষেত্র। প্ৰত্যেক ভুজ প্ৰায় ৫ মাইল লম্বা | প্ৰথমে বৃক্ষশ্রেণীর চতুভূজ-পরে রোমীয় ইষ্টকের প্রাচীরনিৰ্ম্মিত চতুভুজ। তাহার ভিতর য়্যামন-মন্দির বা য়্যামন-নগর । ইহাকেই গ্রীকের শতদ্বারবিশিষ্ট নগররূপে জানিত । দক্ষিণ দিকের চন্দ্ৰমন্দিরের ন্যায় উত্তরে এবং পশ্চিমেও দুইটি মন্দির, বোধ হয় এই আবেষ্টনেরই অন্তৰ্গত ছিল। চতুঃসীমা দেখিয়া মন্দিরের ভিক্ষর দিকে দৃষ্টিপাত করিলাম। সেই উচ্চ স্থান হইতে দেখা গোল-পাদদেশে বিস্তীর্ণ প্ৰাঙ্গণ । এত বড় প্ৰাঙ্গণে বোধ হয় দিল্লীর সমস্ত জুম্মা মসজিদ অবস্থিত হইতে পারে। প্ৰাঙ্গণের দুই ধারে বারান্দা। বারান্দার সম্মুখে স্তম্ভ রাশি । স্তম্ভগুলির শিরোভাগে চতুষ্কোণ প্ৰস্তরফলক। স্তম্ভশ্রেণীর সম্মুখে ফিঙ্কের সারি। প্রাঙ্গণের ভিতরে পূর্বেপশ্চিমে দণ্ডায়মান স্তম্ভসমূহ, তাহাদের কয়েকটি মাত্র এক্ষণে বৰ্ত্তমান । এইগুলির শিরোদেশ পুষ্পের সর্বোপরিস্থ আবরণের আকৃতিবিশিষ্ট । প্ৰাঙ্গণের পর গৃহ-গৃহের ভিতর বহু স্তম্ভ । সেই উৰ্দ্ধভূমি হইতে বেশী দেখা গেল না। তাহার পূর্বে একটি ওবেলিস্ক দেখিতে পাইলাম। ঐ স্থানে একটা নিম্নতর ওবেলিস্কও আছে । তাহ দেখা গেল না । সমস্ত মন্দির পূর্বে-পশ্চিমে বিস্তৃত; চন্দ্ৰ-মন্দির উত্তরে-দক্ষিণে বিস্তৃত। প্ৰাচীন মিশরের মন্দিরগুলি সমাচতুভূজ নয়-চৌড়া অপেক্ষা লম্বায় বড়। য়্যামন-মন্দিরের কুত্ৰাপি শিখর বা গম্বুজ দেখিতে পাইলাম না।