পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য-চাচা আজকাল কলিকাতায় বঙ্গীয়-সাহিত্য-সম্মিলনের অধিবেশন । কাল রাত্ৰে আহারের পর পণ্ডিত-প্রবারের সঙ্গে কিছু বাঙ্গালা সাহিত্যের চচ্চা হইয়াছিল। আমাদের সঙ্গে একজন ইংরাজ অধ্যাপক বিলাত যাইতেছেন । DD BBB BD SDBGB KBD DDD DD DS DBBD S LBBBD DDD S রাঢ় অঞ্চলের এক মিশনারী কলেজে তিনি শিক্ষকতা করেন । বুঝা গেল। ইহঁর সঙ্গে রবি বাবুর বন্ধুত্ব আছে। রবি বাবুর “গল্পগুচ্ছ” এবং অন্যান্য দুই চারি খানা বই ইহঁর বাক্সেব মধ্যে বোম্বাই মেলের গাড়ীতে ইষ্ট দেখিয়াছিলাম। ইনি বাঙ্গালী ছাত্রদের সঙ্গে খুব মিশিয়া থাকেন । বঙ্গের সমাজ, সাহিত্য, শিক্ষা ইত্যাদি সম্বন্ধে নানা উপায়ে অভিজ্ঞতা লাভ করাই ইহঁর উদ্দেশ্য । কিন্তু এই জ্ঞান তিনি ভবিষ্যতে কোন দিকে ব্যবহার করিবেন কে জানে ? রেল হইতেই ইহঁর মত অনেকটা বুঝিতে পারিয়াছিলাম। বেশী ছাত্র পরীক্ষায় পাশ হইতেছে ইহা তাহার ভাল লাগে না । তাহার বিশ্বাস, বাঙ্গালী ছাত্রদের বুদ্ধিশক্তি বিশেষ তীক্ষা নয়। ইংরাজীতে ভাল কথা বলিতে এবং প্ৰবন্ধাদি লিখিতে পারাই ইহঁর বিবেচনায় উচ্চ শিক্ষার লক্ষণ ।। সকল ছাত্ৰকেই তিনি এই মাপ কাঠিতে বিচার করিতে চাহেন। রবি বাবুর কাব্য সম্বন্ধে ইনি অত্যন্ত উচ্চ ধারণাই পোষণ করেন । কিন্ত তাহার মাথায় কে ঢুকাইয়া দিয়াছে যে, রবি বাবুর চিস্তাগুলি বাঙ্গালীসমাজ আদর করে না । রবীন্দ্ৰসাহিত্যের আদর্শ বাঙ্গালীরা বুঝিতে পারে-ইহা তিনি বিশ্বাসই করিতে পারেন না । আমাদের বাঙ্গালী পণ্ডিতপ্ৰবর এই পাত্রী অধ্যাপককে বেশ বুঝাইয়া দিলেন--রবি বাবুর চিন্তা ও আদর্শগুলি সাধারণ বাঙ্গালীর পক্ষে এবং