পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠদিবস—পৰ্বত-গুহায় মিশরীয় শিল্প কাল প্ৰাচীন খীবস-নগরের পূর্বাৰ্দ্ধ দেখিয়াছি। আজ পশ্চিমাৰ্দ্ধ দেখিতে গেলাম। হোটেলের নৌকায় নাইল পার হওয়া গেল । একগণ্ডষে জল মুখে দিলাম। স্বাদ মন্দ নয়—জলে বালু কিম্বা অন্য কোন ময়লা ভাসে না । মোটের উপর জলের বর্ণ ঈষৎ পীত। এপ্রিল মাস-গ্রীষ্মকাল আরম্ভ হইয়াছে-জলের স্রোত বেশী নাই। নদীর বিস্তৃতিও অল্পই । মথুরায় যমুনা যত বড়, লুকুসারে নাইল প্ৰায় তত বড় । আমরা সমুদ্র হইতে প্ৰায় ৬০০ মাইল উৰ্দ্ধে আছি। কানপুরের গঙ্গা হইতে বঙ্গোপসাগর যতদূর, আমরা এক্ষণে নাইলের মুখ হইতে ঠিক ততদূরে রহিয়াছি। এজন্য নদী এখানে কম প্রশস্ত হইবারই কথা । অবশ্য কাইরোর নিকটেও নাইল বেশী প্ৰশস্ত নয় । নৌকাব্যক্ষ হইতে পূৰ্ব্বতীরের সৌধসমূহ দেখিতে সুন্দর। লুক্সরমন্দিরের স্তম্ভশ্রেণী ঈষৎ রক্তবর্ণ আভায় অন্যান্য গৃহাবলী হইতে নিজের স্বাতন্ত্র্য রক্ষা করিয়া দাড়াইয়া আছে । আমরা যে হোটেলে আছি সেইটাই নদীর ধারের আধুনিক গৃহগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা সুন্দর ও বৃহৎ । নদীবক্ষে কতকগুলি ফেরিনৌকা লোকজনকে পার করিতেছে। শীতকাল চলিয়া গিয়াছে। পৰ্য্যটক এখন একেবারেই নাই বলিলে অত্যুক্তি হয় না। যে দুই চারিজন আছেন। তঁহাদিগকে অপর পারে লইয়া