পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম দিবস—মিশরের দক্ষিণ-দ্বার আজি দক্ষিণ-মিশরের শেষ সীমায় চলিয়াছি । নিউবিয়া প্ৰদেশ ও উচ্চতর মিশরের সঙ্গমস্থলে যাইতেছি। এই স্থান মিশরের ইতিহাসে চিরপ্ৰসিদ্ধ। এই অঞ্চল রক্ষা করিতে পারিলেই মিশরের উর্বরভূমি দক্ষিণ হইতে রক্ষিত হইত। আবার এইখানেই নাইল নানা শাখায় বিভক্ত হইয়া নিউবিয়া ও মিশরদেশের স্বাতন্ত্র্য রক্ষা করিত । মিশরের জল সরবরাহ এবং ভূমির উর্বরতার জন্য এই স্থান মিশরের অধিকারে থাকা নিতান্তই আবশ্যক ছিল । অধিকন্তু, এই পথ দিয়াই সুড়ান নিউবিয়া ইত্যাদি। আফ্রিকার দক্ষিণ ও পূর্ব জনপদসমূহে বাণিজ্য প্রবাহিত হইত। প্ৰাচীন মিশরের রাষ্ট্র, শিল্প, কৃষি, ব্যবসায় সকলই এই স্থানের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হইত। এই কারণে প্ৰাচীনতম যুগে, গ্রীক ও রোমান আমলে এবং মুসলমানকালেও নরপতিগণ এই স্থান আয়ত্ত করিতে চেষ্টিত হইতেন। দক্ষিণে অন্তত এই পৰ্য্যন্ত সাম্রাজ্য বিস্তৃত না হইলে তঁহারা নিশ্চিন্ত হইতেন না । এইজন্য এই প্রদেশে মিশরীয়, গ্ৰীকরোমান, মুসলমান সকল যুগের পুরাতন কীৰ্ত্তি কিছু কিছু বৰ্ত্তমান । আমরা মিশরের সেই দ্বারদেশ পরিদর্শন করিতে আজ অগ্রসর হইয়াছি। সমুদ্রতীর হইতে প্ৰায় ৭০০ মাইল দক্ষিণে নাইল মিশন ও নিউবিয়ার এই সঙ্গমস্থল সৃষ্টি করিয়াছে। আমরা লুকাসর হইতে প্ৰায় ৭ ঘণ্টায় এই স্থানে আসিয়া পৌছিলাম। উত্তর-মিশরে এবং দক্ষিণমিশরের