পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবরের দেশে দিন পনরা-মিশরের দক্ষিণ-দ্বার S \e) ዓ আমেরিকান প্রত্নতত্ত্ববিদগণ নিজ নিজ হাতিয়ার লইয়া খননকাৰ্য্য, লিপিপাঠ, চিত্রসমালোচনা, ও মূৰ্ত্তিতত্ত্বের বিশ্লেষণ করিতেছেন । মিশর সমগ্ৰ পাশ্চাত্য ঐতিহাসিক সমাজের একটা বিরাট ল্যাবরেটরী । আধুনিক মিশর এই কারণে পাশ্চাত্য দেশেরই এক অংশ হইয়া পড়িয়াছে। যাহারা ভারতবর্ষের উত্তর দক্ষিণ পূর্ববপশ্চিম প্ৰান্তে পৰ্য্যটন করিয়া দেশীয় পুরাতত্ত্বের আকার ও ল্যাবরেটরীসমূহে কৰ্ম্ম করিয়াছেন তা হাঁদের পক্ষে মিশরের আটঘাট, পর্বত, নদী, মরুভূমি, ধূলিকণা, নূতন নূতন ঐতিহাসিক উপকরণ দান করিবে । এই উপকরণসমূহের আবেষ্টনের ভিতর একবার বসিতে পারিলে স্বতই ইতিহাস-চৰ্চায় উচ্চশিক্ষা লাভ তইতে থাকিবে । বিদেশীয় পণ্ডিত ও ধুরন্ধীরগণের কার্য্যপ্ৰণালী, আলোচনা প্ৰণালী সকলই জানিতে পারা যাইবে । এতদ্ব্যতীত তাহাদের সঙ্গে যথার্থ ও আন্তরিক বন্ধুত্ব জন্মিবার সুযোগও হইতে পারে। তাহার ফলে গুরুশিষ্যের সম্বন্ধ প্রতিষ্ঠিত হইবে । তুলনামূলক আলোচন-প্ৰণালী অবলম্বিত হইবে । ভারতীয় পুরাতত্ত্ব ও মিশরীয় পুরাতত্ত্বের সমীকরণ ও সামঞ্জস্য বিধানের কাল সমীপবৰ্ত্তী হইবে । এইরূপে নব নব উপায়ে ভারতের ঐতিহাসিকগণ জগতের চিন্তাক্ষেত্রে নূতন নূতন আন্দোলনের সূত্রপাত করিতে সমর্থ হইবেন । বালিন অক্সফোর্ড বা হারভার্ডে বসিয়া এত বহুসংখ্যক ভিন্ন ভিন্ন জাতীয় श्रूश्च & বিশেষজ্ঞগণের সাহায্য, উপদেশ বা পরামর্শ পাওয়া যাইবে না । মিশরকেই ভারতবাসীর ইতিহাস-বিদ্যালয় বিবেচনা করা কীৰ্ত্তব্য । তি