পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/২০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবরের দেশে দিন পনরা-আসোয়ানের গ্রানাইট পাহাড় ১৪৩ নগরের অট্টালিকাসমূহ। উত্তরে বুক্ষশ্রেণীর নিম্নদেশেই স্ফটিক রেখার ন্যায় ক্ষুদ্রকায় নাইলনন্দ বিরাজিত। এই কাচসদৃশ বক্ৰগতি সূক্ষ্মসূত্রের পশ্চিমকুলেই সুবৰ্ণবালুকাময় উচ্চ গিরিশৃঙ্গ । বাঙ্গালী কবি মিবার সম্বন্ধে গাহিয়াছেন “এমন স্নিগ্ধ নদী কাহার, কোথায় এমন ধূম্র পাহাড় ।” আসোয়ানের পাহাড় ধূত্র নয়-কিন্তু এই পর্বতবেষ্টিত মরুময় উপত্যকায় মিবার, জসলামীর, এবং রাজপুতনার অন্যান্য স্থানের দৃশ্যই চোখের সম্মুখে ভাসিতে লাগিল। উদয়পুরের কৃষ্ণপাহাড়, ও উদ্যান হ্রদ এবং সরোবর, অম্বরের পার্বত্য মরু, এবং জয়পুরের মরুপ্রান্তর এই সমুদয়ের প্রাকৃতিক শোভা আসোয়ান উপত্যকার দৃশ্য হইতে অনেক স্বতন্ত্ৰ সন্দেহ নাই। কিন্তু মিশরদেশের এই অঞ্চলের সদৃশ ভারতবর্ষের কোন প্রদেশের কথা ভাবিতে হইলে দিল্লী, আগ্রা ও গোয়ালিয়রের পশ্চিম-দক্ষিণ প্ৰান্তবৰ্ত্তী জলহীন তরুহীন রৌদ্রতপ্ত রাজস্থান এবং সিন্ধুদেশের নামই করিতে হইবে। আসোঁয়ানের জলবায়ু নদী পৰ্ব্বত উদ্যান প্ৰান্তর ক্ষুদ্রভাবে ভারতের এই বিস্তীর্ণ মরুদেশের জনপদগুলি স্মরণ করাইয়া দেয়।