পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/২১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবরের দেশে দিন পািনর — পৰ্বত-গুহায় মিশরীয় শিল্প ১৪৭ সিনিয়ার পর্বতশৃঙ্গে ঠেকে। তাহার ফলে জুন মাস হইতে আবিসিনিয়ায় বৃষ্টি আরম্ভ হয়। সেইখানেই আবার আমাদের নাইলনদের নীলশাখার উৎপত্তি । কাজেই আবিসিনিয়ায় যে বর্ষা হয় তাহার সুফল মিশরবাসী ও ভোগ করে। কিন্তু বর্ষার প্রভাব আমাদের অঞ্চলে পৌছিতে অনেক দিন লাগে । আগষ্ট মাস হইতে আসোয়ানের “ড্যামে” বর্ষা দেখিতে পাই । এই বর্ষার প্রবল জলধারা বন্দী করিয়া রাখিবার ক্ষমতা মানুষের আছে কিনা সন্দেহ । সুতরাং বর্ষাকালে নাইলকে স্বাধীনভাবে প্ৰবাহিত করা হয় । পরে যথাসময়ে ইহার জল ধরিয়া রাখিবার জন্য ড্যাম বন্ধ করা হইয়া থাকে। আজকাল ড্যাম বন্ধ । এজন্য নিউবিয়াভাগে নাইলের জল বেশী ।” নৌকা হইতে আইসিস মন্দির ও ফাইলিদ্বীপ দেখিয়া ড্যামের পূর্বপ্ৰান্তে উপস্থিত হইলাম। ড্যামের উপর হইতে দক্ষিণে নিউবিয়া এবং উত্তরে মিশপের অবস্থা বুঝিয়া লইলাম । দেখা গেল নিউবিয়ার নাইল একটা প্ৰকাণ্ড স্থির সরোবরের মত শুইয়া আছে—চারিদিকে কৃষ্ণ বা ঈষৎরক্ত গ্রানাইট প্ৰস্তরের পর্বত । মিশরের নাইল শুষ্কপ্ৰায়-নদীব্যক্ষ অসংখ্য শিলাখণ্ডে ও গিরিশৃঙ্গে পরিপূর্ণ। পশ্চিম প্ৰান্ত হইতে প্ৰবলবেগে তুষার-ধবল জলরাশি বহির্গত হইয়া ক্ষুদ্র স্রোতস্বিতীর আকার ধারণ করিয়াছে। যে দিকে তাকাই সেই দিকেই পাহাড়। ড্যামের পূর্বপ্ৰান্তে মিশরের ভাগে একটা সুবিস্তৃত উদ্যান । ইহার সবুজ রঙের শস্যপূর্ণ ক্ষেত্ৰসমূহ উপর হইতে মকমলের গালিচার বিভিন্ন অংশের মত দেখাইতেছে। পশ্চিম প্রান্তে “ড্যাম’-কারখানার কাৰ্য্যালয় । ভারতবর্ষের নদীজল ধরিয়া রাখিবার জন্য বিভিন্ন স্থানে অনেক ড্যাম, য়্যানিকাট দেখিয়াছি। কটকের মহানদীর য়্যানিকাট প্ৰসিদ্ধ। কিন্তু নাইলের এই আসোয়ান-“বারাজে”র ( Barrage ) তুলনায় উহা