পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/২৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কবরের দেশে দিন পনর-যুবক মিশরের স্বাদেশিকতা V5 ভূমিতে তাহারই অর্থে নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। সৌন্দৰ্য্য-হিসাবে কাইরোনগরের অন্যান্য সৌধের সঙ্গে ইহা সমকক্ষ । সভ্যগণের সঙ্গে মুসলমান সভ্যতা সম্বন্ধে আলোচনা হইল। ভারতবর্ষের মুসলমানদিগের বিষয়ে ইহঁরা কিছুই জানেন না দেখিলাম। ইহার বলিলেন, “আমরা সাধারণতঃ ফরাসী সংবাদপত্র ও গ্রন্থাদি পাঠ করিয়া থাকি । ইংরাজীর তত বেশী ধার ধারি না। কিন্তু ভারতের হিন্দু , মুসলমানেরা ফরাসী জানেন না। তাহারা ইংরাজী ভাষায় শিক্ষিত । তাহার পর আমাদের মাতৃভাষা আরবী । কিন্তু ভারতীয় মুসলমানদের মাতৃভাষা কি তাহা আমরা জানি না। কাজেই ধৰ্ম্মে ঐক্য থাকিলেও ভাষার পার্থক্য থাকায় আমরা পরস্পর ভাব বিনিময় করিতে পারি না ।” আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “তাহা হইলে আপনার জগতের মুসলমানসমাজকে এক আদর্শে গড়িয়া তুলিতে আশা করেন কি করিয়া ? প্যানইসলামের দীক্ষামন্ত্র আপনার সর্বত্র প্রচার করিতে পারিতেছেন কি ?” ইহঁরা বলিলেন, “সত্য কথা, প্যান-ইসলাম-আন্দোলন সুপ্ৰতিষ্ঠিত হয় নাই । মিশরে এই প্ৰচেষ্টার কাৰ্য্য অতি অল্পই হইয়াছে । ইহার প্রভাব আমরা কিছুই অনুভব করি না। এমন কি তুরস্কের মুসলমানের সঙ্গেই আমাদের কোন সম্বন্ধ নাই। উহাদের সঙ্গে মিশরীয় চিন্তা ও কৰ্ম্মের আদান প্ৰদান অতি অল্পই হয়। পারস্য, আফগানিস্থান ও হিন্দুস্থানের মুসলমানদিগকে আমরা চিনি না বলিলে দোষ হয় না। ইতিহাস-গ্রন্থে পড়িয়া থাকি মাত্র যে, ঐ সকল দেশে আমাদের স্বধৰ্ম্মাবলম্বা নরনারীগণ বাস করে, এই পৰ্য্যন্ত। অধিকন্তু আমাদের সংবাদপত্রেও ভারতবর্ষ সম্বন্ধে কোঢ় তথ্য- প্ৰকাশিত হয় না । মিশরে ও ভারতে ঐক্য প্ৰতিষ্ঠার কোন উপায় এখন পৰ্য্যন্ত অবলম্বিত হয় নাই।” বতুই বিস্ময়ের কথা, মিশরীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকগণ আলিগড়