পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মিশরের পথে-নব্যবঙ্গের দার্শনিক প্ৰবর 8. পাদ্রী অধ্যাপক প্ৰায়ই জিজ্ঞাসা করেন-"এই • পণ্ডিতপ্ৰবর এত বিখ্যাত হইলেন কি করিয়া ? ইহঁর লেখা ত দেখিতেছি বেশী প্ৰকাশিত হয় নাই । দুই চারিটা ছোট ছোট প্ৰবন্ধ ও বক্তৃতা ছাড়া ভিন্ন ভিন্ন লোকের গ্রন্থের মধ্যে পরিশিষ্টরূপে কোন কোন রচনা বাহির হইয়াছে মাত্র।” বাস্তবিক পক্ষে, ইহঁর প্রতিপত্তি অন্যান্য যশস্বী লোকের কীৰ্ত্তির ন্যায় কোথায়ও সুপ্রচারিত नम्र । ভারতবর্ষের বেশী লোক ইহঁাকে জানেন না-পাশ্চাত্য মহলেও ইহঁর নাম তত পরিচিত নয় । তবে সকল দেশের সর্বপ্রধান পণ্ডিতেরা বোধ হয়৷ ইহঁর বিদ্যাবুদ্ধির পরিচয় পাইয়াছেন। সেরূপ লোকের প্রশংসায়ই ইহঁর যাহা কিছু ਅਲ ਸ਼ | 母 বিলাতের লর্ড য়্যাক্টনের অগাধ পাণ্ডিত্য ছিল । তাহার ঐতিহাসিক জ্ঞান ও গবেষণার ইয়ত্ত করা কঠিন । এ সম্বন্ধে ইংরাজজাতির তিনি জীবন্ত বিশ্বকোষ স্বরূপ ছিলেন। ইতিহাস-সংক্রান্ত আলোচনায় তিনি বিলাতের ক্ষুদ্র বৃহৎ সকল প্রকার ঐতিহাসিককে উপকরণ দিতেন এবং তঁহাদের পথপ্রদর্শক ছিলেন। অথচ মৃত্যুর পূর্ব পৰ্য্যন্ত তাহার অত্যর রচনাই প্ৰকাশিত হইয়াছিল। মৃত্যুর পরেও র্তাহার বেশী গ্ৰন্থ প্ৰকাশিত হয় নাই । সত্য কথা। লর্ড য়্যাক্টন জ্ঞান-অৰ্জনে যত আনন্দিত হইতেন, জ্ঞান-প্রচারে তত উৎসুক ছিলেন না। কাজেই • তাহার নিকট আমরা বেশী কিছু পাই নাই। আমাদের এই বাঙ্গালী পণ্ডিতপ্ৰবরেরও সেইরূপ মতিগতি । ইনি ২৪ ঘণ্টা জান বৃদ্ধির চেষ্টাই করিতেছেন-চিরকাল নানা লোককে পদার্থ-বিজ্ঞান, ইতিহাস, দর্শন, সংস্কৃত-সাহিত্য, ধন-বিজ্ঞান; সমাজ-বিজ্ঞান, সাহিত্য-সমালোচনা ইত্যাদি বিভাগে উপাদান জোগাইয়া আসিতেছেন। বাঙ্গালার বহু প্ৰসিদ্ধ লেখক “প্ৰকৃত প্ৰস্তাবে ইহঁর শিষ্য। অথচ ইনি নিজে বেশী কিছু লিখেন নাই। :