পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

R বৰ্ত্তমান জগৎ করিতেছে। এখনও আমাদের সমাজে নব নব চিস্তাবীর ও কৰ্ম্মবীরের অভু্যদয় হইতেছে। তাহাদিগকে জগৎ প্ৰসিদ্ধ বীরপুরুষগণের আসরে স্থান দিতে লজ্জা করিবার প্রয়োজন নাই। কেবল চোখ খুলিয়া আধুনিক বিশ্বের কৰ্ম্মশক্তি ও চিন্তাশক্তি দেখিতে অভ্যাস করা আবশ্যক । তাহা হইলেই বুঝিব-বৰ্ত্তমান ভারতবাসীর চরিত্ৰশক্তি ও বুদ্ধিশক্তি সত্য সত্যই অন্যান্য জাতীয় লোকবৃন্দের তুলনায় বিশেষ হীন নয়। দুই ধারে পাহাড় দেখিতে দেখিতে অগ্রসর হইতেছি । পৰ্ব্বত শ্রেণীদ্বয়কে এক্ষণে ভারতবর্ষের IDeccan Trapএর মত বোধ হইতেছে। স্থানে স্থানে টেবলল্যাণ্ড -- রং প্রায়ই গৈরিক । সুয়োজবন্দর সমীপবৰ্ত্তী । আর প্রায় ১৫/২০ মাইলের মধ্যে বন্দরে পৌছিব । এসিয়ার উপকূলে মরুভূমি ধুধু করিতেছে । সমুদ্রের লােগ। বালুকারাশি পরে পর্বতমালা। আফ্রিকার দিকে পাহাড় সমুদ্র হইতে সোজা উঠিয়াছে। বন্দরে আসিয়া জাহাজ থামিল । সমুদ্রের সম্মুখ ভাগ দেখিয়া কথঞ্চিৎ নাইনিতাল হ্রদের মত বোধ হইল । জল সবুজ বর্ণ। আফ্রিকার কুলে পাহাড় দূরে সরিয়া পড়িয়াছে—কেবল বালুক রাশিই বন্দরের উত্তর, পশ্চিম ও পুর্বদিকে দেখা যায় । তিনদিকেই মরুভূমি সুয়েজ উপসাগরে গোলাকার আবেষ্টন সৃষ্টি করিয়াছে । সাগরের এই অংশে আতিশয় অল্প জল-হঁটিয়া পার হওয়া যায়। এইখানে আমাদের সুইস ও জাপানী বন্ধু নামিয়া গেলেন । ইহঁরা কেইরো যাইবেন । আমরাও সেখানকার যাত্রী ; কিন্তু ইহঁরা সুয়েজ খাল দিয়া পূর্বে আরও গিয়াছেন। আর আমাদের এই প্ৰথম দেখিবার সুযোগ উপস্থিত। বিশেষত: সন্ধার পূর্বে পৌষ্টি%াছ-সুতরাং কৌতুহল যথেষ্ট। আমরা সুয়েজে নামিলাম না-পোটসৈয়দে কাল নামিবকাইরোতে ইহঁদের সঙ্গে একত্ৰ বাসের ব্যবস্থা করিয়া রাখিলাম ।