পাতা:বর্ত্তমান জগৎ - প্রথম ভাগ.pdf/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* R द6भन स१९ আমরা আধুনিক কাইরে-নগরের একটা জৰ্ম্মাণ হোটেলে বাস করিতেছি। এই অঞ্চলের বাড়ীঘরগুলি দেখিতে সবই নূতন—এই-সমুদয় একশত বৎসরের মধ্যে নিৰ্ম্মিত হইয়াছে। উনবিংশ শতাব্দীর প্রসিদ্ধ মিশরীয় সুলতান মহম্মদ আলির আমলে এই বিভাগের সূত্রপাত হইয়াছিল। এই স্থান হইতে পূর্বদিকে গমন করিলাম। ঐ দিকে মিশরের স্বদেশী মহল্লা-প্ৰাচীন কাইরে-নগরের জনপদ । যাইতে যাইতে একপ্রকার গাড়ী দেখিলাম । ইহাতে ৮১০ জন লোক বসিতে পারে। ট্রামগাড়ীর মত টিকেট লইয়া আরোহীরা এই গাড়ীতে চড়ে । গলীতে গলীতে এইগুলি যায় । সুতরাং এক হিসাবে এসমুদয় ইলেকটিক ট্রামের প্রতিদ্বন্দ্বী—অন্য হিসাবে ট্রাম অপেক্ষা ইহার দ্বারা বেশী উপকার পাওয়া যায় । সাধারণতঃ দেশীয় লোকেরা এই ভাড়াটিয়া গাড়ী ব্যবহার করে। ইহার নাম “সুয়রেস” । পূৰ্ব্বভাগের এক স্থানে বিশাল মসজিদ-বিদ্যালয় । ইহা খৃষ্টীয় অষ্টম শতাব্দীতে প্ৰতিষ্ঠিত, সুতরাং পারী, অক্সফোর্ড, কেম্বি জ হইতে ও ইহা প্ৰাচীন । ইহাতে ২৫,০০০ ছাত্র ও শিক্ষক পঠন পাঠন করিয়া থাকেন । ধৰ্ম্মশাস্ত্রের আলোচনাই প্ৰধান । সমস্তই প্ৰাচীন রীতিতে নির্বাচিত হয় । এই মসজিদের চারিদিককার আবহাওয়া মুসলমানী ধৰ্ম্ম, সমাজ ও সভ্যতার অনুকুল। ভারতবর্ষের বড় বড় মন্দিরের চতুষ্পার্শ্বে যেরূপ হিন্দুধরণের দোকান-বাজার, ধৰ্ম্মশালা, ইত্যাদি অবস্থিত, এই মসজিদ দেখিয়াও সেইরূপ ধারণা হয়। কাশীর বিশ্বেশ্বরিমন্দির, পুরীর জগন্নাথ-মন্দির, কামাখ্যার মাতৃমন্দির, ইত্যাদি মন্দিরের ন্যায় এই মসজিদ-বিদ্যালয় নানাপ্রকার জাতীয় অনুষ্ঠান ও প্ৰতিষ্ঠানে পরিবেষ্টিত । ইহার আবেষ্টন এবং চারিদিককার ভাব ধারণা কৰ্ম্ম ও চিন্তাপ্ৰণালী সবই মুসলমানী রীতির পরিপোষক।