বসন্তকুমারী। ミ* দিকে দৃষ্টিপাত করিতে লাগিলেন। দেখিলেন বহুদূরে অগ্নি শিখাবৎ এক দেদীপ্যমান আলোক, নভোমণ্ডল স্পর্শ করি তেছে । তিনি ঐ শিখাবলোকন করিয়া বিস্ময়সাগরে নিমগ্ন হইলেন, এবং নিদ্রাভিভূত বৃষায়ণকে শয্যা হইতে উঠাইয়া অঙ্গুলি নির্দেশপূর্বক তাহাকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন সখে ! ঐ দেখ, বনভ্যন্তর হইতে একটা শিখ; উত্থিত হইয়া নভোমণ্ডল স্পর্শ করিতেছে ; আর ঐ দিক্ হইতে এক অপূর্ব মনোরম গন্ধ আসিয়া, আমার নাসিক গহবরে প্রবেশপূর্বক আমাকে আকর্ষণ করিতেছে । আমি এই ভীষণ কান্তার অতিক্রম করিয়া একাকী উল্লার নিকটবৰ্ত্তী হইব, এবং তামি যত দিন পর্য্যন্ত প্রত্যাগত ন হইব, তুমি তত দিন এই স্থানে তামার জন্য প্রতীক্ষা করিও, এই বলিয়া তিনি এক শ্বেতশ্বোরোহণে প্রস্থানোন্ম হটলেন । বৃষায়ণ তঁহাকে এতাদৃশ অসম্ভাবিত বিষয়ে প্রবৃত্ত হইতে দেখিয়া সাতিশয় বঁ্য গ্রতা সহকারে কহিতে লাগিলেন, সখে ! ক্ষান্ত হও, তোমার অভিলষিত বিষয় অতি ভীষণ ; এ গহন বনমধ্যে কোন স্থানে ও লোকের গতায়াত দেখিতে পাওয়া যায় না, কেবল যেস্থানে যাওয়া যায়, সেই স্থানেই অসংখ্য অসংখ্য হিংস্র জন্তু ব্যতীত, আর কিছুই দৃষ্টিগোচর হয় না । সহস্ৰ ক্রোশ পরিভ্রমণ করিলে, কুত্রপিও মনুষ্যের পদচিহ্ন নয়ন পথে পতিত হইয়া মনকে কিঞ্চিৎ মাত্র অশ্বাসিত পারে না । তার বিপ্নেযতঃ এই ঘোর তমসাচ্ছন্ন নিশীথ-সারে, ে বিরের স্বকাৰ্য্য সাধনোদেশে নানা স্থান পরিভ্রমণ করিঘা দে ছাই
