পাতা:বসন্তকুমারী - প্রথম খণ্ড.pdf/৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

$8 দ্বিতীয় সৰ্গ । পরমহলাদিত-চিত্তে তদভিমুখে অশ্ব সঞ্চালন করিলেন। তুরঙ্গম কতিপয় দিবসের মধ্যে হেমকূটের অদূরে আসিয়৷ উপস্থিত হইল ; দেখিলেন যে হেমকূট ভূধর, নভোমণ্ডল নিভেদ করিয়া সতত গগণ-বিহারী কাদম্বিনী মালার গতির প্রতিরোধ করিতেছে নৃত্যপর ময় রময়ূরীগণ পুচ্ছ বিস্তীর্ণ করিয়া শিখরদেশে নৃত্য করিতেছে ; মৃগেন্দ্র, মৃগকুল, দন্তীযুথপ্রভৃতি বিভিন্ন প্রকার পশু, পাশবভাব পরিত্যাগ । পূর্বক একস্থানে সমবেত হইয়া আচলের বিপুল অধিত্যক প্রদেশে বিচরণ করিতেছে । তিনি এই সুরম্য প্রদেশ অবলোকনান্তর বিমোহিত-চিত্তে কহিতে লাগিলেন, আর আমি রাজধানীতে গমন করিয়৷ এই ক্ষণধ্বংসী শরীরের প্রতিপোষণ করিব না । কেবল পৃথিবীর নানাস্থান পরিভ্রমণ করিয়া ভঙ্গুর দেহকে, মরণশীল মানবগণের চরমদশায় পাতিত করিব । আহা ! বিশ্বপতির কি আশ্চৰ্য্য কৌশল ! এই অসীম ব্রহ্মাণ্ডের যে দিকে দৃষ্টিপাত করা যায়, সেই দিকে কাৰ্য্যের নৈপুণ্যাবলোকন করিয়া আনন্দসাগরে নিমগ্ন হইতে হয়। একবার পর্বত শ্রেণীর প্রতি দৃষ্টিপাত করিলে, যেমন তথাকার শাল, ভীষণ, মূৰ্ত্তি কেশরী ও কুঞ্জবিহারী বৃহৎ বারণবৃন্দের ঘনবরবিনিন্দিত-বিভীষিকা-বৃংহিত রবে শ্রবণবিবর বধির হয়, সেইরূপ আবার তত্ৰত্য বাতবিহত বনস্পতির স্বন স্বন শব্দ ও স্রোতস্বতীর কলকল ধ্বনিতে শ্রবণেন্দ্রিয় পরিতৃপ্ত হয় । „^ অনন্তর বসন্তসেন, বিশ্বস্রষ্টার গুণ কীৰ্ত্তন করিতে