পাতা:বসন্তকুমারী - প্রথম খণ্ড.pdf/৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বসন্তকুমারী। ৩৭ জনের প্রতি এতাদৃশ বিষমদণ্ড দেখিয়া সকলেই অসন্তুষ্ট হইয়াছিলেন। কিন্তু কেহই কোপনস্বভাব রাজার অসঙ্গত কাৰ্য্য নিবারণার্থ সাহসী না হইয়া তুষ্টীম্ভাব অবলম্বন করিয়া রছিলেন । রাজা জীমূতসেনের বসন্তকুমারী নাম্নী এক পরমাসুন্দরী তনয় ছিলেন। তদানীন্তন তাহার তুল্য রূপবতী, ভূমণ্ডলে আর কুত্ৰাপি ছিল না; তাহার অলৌকিক রূপরাশি ও অসামান্য বুদ্ধিমত্তার বিষয়, দিগদিগন্তব্যাপিনী হইয়াছিল। তিনি যেমন বিদ্যার পরাকাষ্ঠা হেতু মানবী কুলের ভূষণ স্বরূপ হইয়াছিলেন, সেইরূপ আবার সরলহৃদয়া, দয়াশীলাপ্রভৃতি পৃথিবীস্থ যাবতীয় গুণালঙ্কারে অলঙ্কত ছিলেন। লোকপরম্পরায় বসন্তসেনের বিষয় তাহার কর্ণগোচর হইলে পর, তিনি আপনার তাম্বুলকরস্কবাহিনী হেমমালা নাম্নী পরিচারিকাকে সম্বোধন করিয়া কহিলেন হেমমালে ! তুমি ত্বরায় কারাধিপতি বজ্রজিৎ, সমীপে গমন করিয়া আমার হইয়া কহিবে যে কারাপতে ! যে বিদেশী পুরুষ বিনাপরাধে তোমার নিকট অপিত হইয়াছেন, যদি তিনি বন্ধন দশায় অবস্থিত থাকেন, তবে ক্ষণকাল বিলম্ব না করিয়া বন্ধন মোচন পূর্বক তাহাকে পরম যত্নে রাখিব । তার নির স্তর কার গারে থাকিলে মনের বিকৃতিভাব উপস্থিত হইয়া ক্ষণধ্বংসী দেহকে, জীবকুলের চরম দশায় উপস্থিত করে । অতএব তুমি র্তাহাকে তাহার চিত্ত-চাঞ্চল্য নিবারণার্থ, সময়ে সময়ে আমার পরম রমণীয় পুষ্পোদানে অবাধে পৰ্য্যটন করিতে