পাতা:বসন্তকুমারী - প্রথম খণ্ড.pdf/৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

रुजस्त्रकूभौ । - (to সময়ে এক আসন্নপ্রসব কুরঙ্গিনী তাহার দৃষ্ট্রিপথে পতিত হইল । নৃপতি, হরিণের বধোদেশে শরাসনে শরসন্ধান করিলেন ; কুরঙ্গম তাহার অভিপ্রায় বুঝিতে পারিয়া প্রাণপণে দোঁড়িতে আরম্ভ করিল; পিতাও একাকী অশ্বারোহণে সেই মৃগের পশ্চাৎ পশ্চাৎ ভীষণ কান্তার মধ্যে প্রবেশ করিলেন। এই রূপে কিয় দূর গমন করিলে মৃগ তাহার দৃষ্টিপথের বহির্ভূত হইল । তখন তিনি মৃগের বধাশায় হতাশ হইয়া প্রত্যাগমনের উপক্রম করিলেন । কিন্তু হারিণিক পিতা, গমনকালীন অশ্ব প্রবল বেগে গমন করাতে কোন বয়র্ণবলম্বন করিয়া গিয়াছিলেন, এক্ষণে তাহ কিছুই স্থির করিতে পারিলেন না । বিশেষতঃ চতুর্দিকে আরণ্য জন্তুর ভীষণনিনাদ, তাহার শ্রবণ গোচর হওয়াতে তাহাতে আর ভয়ের পরিসীমা রহিল না। তখন তিনি কিংকৰ্ত্তব্য-বিমূঢ় হইয়া কিয়ৎক্ষণ হতবুদ্ধির ন্যায় দণ্ডায়মান রহিলেন ; তৎপরে গলদ শ্রীলোচনে কাতর বচনে কহিতে লাগিলেন হায়! আমি কেনই এই কুরঙ্গিনীর অনুসরণে প্রবৃত্ত হইয়াছিলাম; ইহাকে লক্ষ্য করিয়া আসাতে আমাকে এই ঘোর বিপদসাগরে নিমগ্ন হইতে হইয়াছে। যে সমুদয় মনুষ্য আপনার জিযাংসাবৃত্তি পরিতৃপ্ত্যর্থ সতত বনবিহারী আরণ্য পশু যুথের নিধন সম্পন্ন করিয়া থাকে, তাহাদিগকে এবপ্রকারে বিপদাপন্ন হইতে হয়। আমি মৃগয়াসক্ত হইয়া এককালে যে কতশত প্রাণীদিগকে নিহনন করিয়া অতি বিষম প্রত্যবায়গ্রস্ত হইয়াছি, এক্ষণে আমাকে তাহার প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ আপনার প্রাণ সমৰ্পণ করিতে