পাতা:বসন্তকুমারী - প্রথম খণ্ড.pdf/৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ৰসস্তকুমারী । ভরে মৌনী হইয়া রছিলেন। হেমমালা তাহার এবস্তুত দশাবলোকনে নিতান্ত কাতর স্বরে কহিতে লাগিলেন দেবি ! অবিবেকীর ন্যায় নিরন্তর শোকাচ্ছন্ন হইয়া আপনকার কলেবর চৰ্ম্মাবৃত কঙ্কালে পৰ্য্যবসিত হইয়াছে। বিপদে প্রত্যুৎপন্নমতিত্ব সুখে গাম্ভীৰ্য্য, দুঃখে সৌম্যভাব, শোকে ধৈর্য্যাবলম্বন করাই মহাত্মাদিগের প্রকৃত গুণ ; নিরবচ্ছিন্ন অন্তরসারবিহীন অকিঞ্চিৎকর শোকের বশীভূত হইলে, তাহাতে ভবৎসদৃশ মহানুভব কামিনীদিগের দুর্নাম আছে। অতএব অন্তঃকরণহইতে দুনিবার শোকদাহের শান্তি করিয়া ধৈৰ্য্যাবলম্বন করুন ; আর মনকে ক্লেশিত করিবেন না। একদিন নৃপতনয়া, আপনার সখীকুলে পরিবেষ্ঠিত হইয়া বসন্তসেন সম্বন্ধীয় কথায় নিবিষ্ট আছেন, এমন সময়ে নগরের চতুর্দিক আনন্দ সূচক কম্বু নিনাদে পরিপূর্ণ হইল । বসন্তকুমারী তত্ত্বানুসন্ধানাথ চন্দ্রমালাকে প্রেরণ করিলেন । চন্দ্রমালা যাবতীয় বিষয় যথাবিহিতরূপে অবগত হইয়া আসিয়া কহিতে লাগিলেন সখি ! জীযুতকুটের অধিপতি রাজা বীরসেনের তনয়? শরদযামিনী যে দুৰ্ব্বাস কর্তৃক শাপগ্রস্ত হইয়া বনে গমন করিয়াছিলেন, তিনি এক্ষণে আপনকার পিতৃ সকাশে উপস্থিত হইয়াছেন। আপনার পিতা তাহাকে প্রাপ্ত হইয়া পরমাহলাদিত-চিত্তে কহিয়াছেন বৎসে ! বহুকালাবধি ত্বদীয়পিতামাতা তোমাকে নাদেখিতে পাইয়া তোমার জীবিতাশায় জলাঞ্জলি দিয়াছেন ; এক্ষণে তুমি দৈবানুগ্রহে আমার রাজ্যে উপস্থিত হইয়াছ; তোমার পিতা আমার পরম মিত্র, আমি তাবিলম্বেই তোমাকে তৎ