পাতা:বসন্তকুমারী - প্রথম খণ্ড.pdf/৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বসন্তকুমারী b۱۵ س দের দীর্ঘাকার, দীর্ঘশ্মশ্রু, চক্ষুস্বভাবতঃ রক্তিম, দেখিলেই মানব রূপী রাক্ষস স্বরূপ বলিয়া সুস্পষ্ট প্রতীয়মান হয়। অল্পক্ষণপরেই কিরাতদিগের দৃষ্টিপথেপতিত হইলাম; তাহার। আমাকে দেখিবামাত্র আমার করদ্বয় বন্ধন করিল। আমি এইরূপে বন্ধন দশায় উপস্থিত হইয়া সেই কিরাতদিগের সমভিব্যাহারে গমন করিতে লাগিলাম। তৃতীয় দিবস অতীত হইলে পর, যখন কমলিনী-নায়ক উদয় গিরির শিখরদেশে আরোহণ করিলেন, তখন তাহারা আমাকে এক ভগ্নঅট্রালিকার মধ্যে উপস্থিত করিল ; অল্পক্ষণ পরেই আমি তাহাদের অধিপতি সমীপে নীত হইলাম। দেখিলাম সেই শবরাধিপ, এক অত্যুন্নত কাষ্ঠাসনে আসীন হইয়া স্বীয় প্রকৃতি পুঞ্জের হিত চচ্চ করিতেছেন । তিনি আমাকে দেখিবামাত্র ত্বদীয় অন্তঃপুরস্থ এক নির্জন প্রদেশে প্রেরণ করিলেন। আমি তথায় অহোরাত্ৰ হাহাকার রবে কারাগৃহ বিদীর্ণ করিতাম । আমার ক্ৰন্দন ধ্বনি শ্রবণ করিয়া পুরবাসিনী কিরাত বধূগণ, সৰ্ব্বদাই আমার নিকট গমনাগমন করিতেন । কখন কখন কিরাত রাজ পুরন্ধ আসিয়া স্বীয় তনয়ার ন্যায় সমেহ সম্ভীষণে কহিতেন বৎসে ! ধৈৰ্য্যাবলম্বন কর ; তোমার দুঃখ অচিরাং মোচন হুইবে, আমার আরাধ্য দেবতারাই তোমার মঙ্গল করিবেন । তাহার এবম্বিধ স্নেহ দেখিয়া আমি তাহাকে ম৷ বলিয়। সম্বোধন করিতাম, তিনিও আমার প্রতি অমায়িক ভাব প্রকাশ করিতেন । এতাবৎকাল বনবাসিত হইয়া যে অসহ্য শোক দহনে সন্তাপিত হইয়া আসিতেছিলাম, এক্ষণে তাহ।