পাতা:বহুবিবাহ.pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৬০
বহুবিবাহ।

অধুনাতন কুলীনেরা, অস্প লাভে সন্তুষ্ট হইয়া, কুলভঙ্গ করি। থাকেন। আর, কুলভঙ্গ করিয়া, কন্যার বিবাহ দিবার লোকের সংখ্যাও এক্ষণে অনেক অধিক হইয়াছে। পূর্ব্বে, কোনও গ্রামে কেবল এক ব্যক্তি কুলভঙ্গ করিয়া কন্যার বিবাহ দিতেন। পরে তাঁহার পাঁচ পুত্র হইল। তাঁহারা সকলে কন্যার বিবাহবিষয়ে পিতৃদৃষ্টান্তের অনুবর্ত্তী হইয়া চলিয়াছেন। এক্ষণে, সেই পাঁচ পুত্রের পুত্রদিগকে, কুলভঙ্গ করিয়া, কন্যার বিবাহ দিতে হইতেছে। সুতরাং, যে স্থানে কেবল এক ব্যক্তি কুলভঙ্গ করিয়া কন্যার বিবাহ দিতেন, সেই স্থানে এক্ষণে সেই প্রথা অবলম্বন করিয়া চলিবার লোকের সংখ্যা অনেক অধিক হইয়াছে। মূল্যও অল্প, গ্রাহকের সংখ্যাও অধিক, এজন্য, কুলভঙ্গ ব্যবসায়ের উত্তরোত্তর শ্রীকৃদ্ধিই হইতেছে। সুতরাং, স্বকৃতভঙ্গের সংখ্যা এখন অনেক অধিক এবং উত্তরোত্তর অধিক বই ন্যূন হওয়া সম্ভব নহে। স্বতভঙ্গেরা অধিক বিবাহ করিতেছেন, এবং স্থানে স্থানে তাঁহাদের যে কন্যার পাল জম্মিতেছে, তাহাদিগকে স্বকৃতভঙ্গ পাত্রে অর্পন করিতে হইতেছে। এমন স্থলে, বিবাহবিষয়ক অত্যাচারের বৃদ্ধি ব্যতীত হ্রাস কিরূপে সম্ভব হইতে পারে, বুঝিতে পারা যায় না। যাহা হউক, কুলীনদিগের বিবাহ- বিষয়ক অত্যাচারের প্রায় নিবৃত্তি হইয়াছে, যাহা কিছু অবশিষ্ট আছে, অল্প দিনেই তাহার সম্পূর্ণ নিবৃত্তি হইবেক, এ কথা সম্পূর্ণ অলীক।

কলিকাতাবাসী নব্যসম্প্রদায়ের অধিকাংশ লোক পল্লীগ্রামের কোনও সংবাদ রাখেন না; সুতরাং, তত্রত্য যাবতীয় বিষয়ে তাঁহারা সম্পূর্ণ অনভিজ্ঞ; কিন্তু, তৎসংক্রান্ত কোনও বিষয়ে অভিপ্রায় প্রকাশের প্রয়োজন হইলে, সম্পূর্ণ অভিজ্ঞের ন্যায়, অসঙ্কুচিত চিত্তে তাহা করিয়া থাকেন। তাঁহার, কলিকাতার ভাবভঙ্গী দেখিয়া, তদনুসারে পল্লী গ্রামের অবস্থা অনুমান করিয়া লয়েন। ঐ সকল