পাতা:বহুবিবাহ রহিত হওয়া উচিত কি না এতদ্বিষয়ক বিচার - দ্বিতীয় পুস্তক.pdf/৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৩২
বহুবিবাহ।

তাঁহাদের বোধ জন্মাইবার নিমিত্তই আমার যত্ন"(২১)[১]। অধুনা, ধর্ম্মের তত্ত্বজ্ঞানলাভে অভিলাষীরা তর্কবাচস্পতি মহাশয়ের পূর্ব্ব লিখনে আস্থা ও শ্রদ্ধা করিয়া, “বিবাহমাত্রই রাগপ্রাপ্ত,” এই ব্যবস্থা শিরোধার্য্য করিয়া লইবেন, অথবা তদীয় শেষ লিখনে আস্থা ও শ্রদ্ধা করিয়া, “বিবাহমাত্রেই রাগপ্রাপ্ত নয়,” এই ব্যবস্থা শিরোধার্য্য করিবেন, ধর্ম্মোপদেষ্টা তর্কবাচস্পতি মহাশয় সে বিষয়ে তাঁহাদের সন্দেহভঞ্জন করিয়া দিবেন। আমায় জিজ্ঞাসা করিলে, আমি তৎক্ষণাৎ অসঙ্কুচিত চিত্তে এই উত্তর দিব, উভয় ব্যবস্থাই শিরোধার্য্য করা উচিত ও আবশ্যক। মনু কহিয়াছেন,


 শ্রুতিদ্বৈধন্তু যত্র স্যাত্তত্র ধর্ম্মবুভৌ স্মৃতৌ।২।১৪।

  যে স্থলে শ্রুতিদ্বয়ের বিরোধ ঘটে, তথায় উভয়ই ধর্ম্ম বলিয়া ব্যবস্থাপিত।

উভয়ই বেদবাক্য, সুতরাং উভয়ই সমান মাননীয়। বেদবাক্যের পরস্পর বিরোধস্থলে, বিকল্প ব্যবস্থা অবলম্বন না করিলে, বেদের মানরক্ষা হয় না। সেইরূপ, এই উভয় ব্যবস্থাই এক লেখনী হইতে নির্গত, সুতরাং উভয়ই সমান মাননীয়। বিকল্পব্যবস্থা অবলম্বনপূর্ব্বক, উভয় ব্যবস্থা শিরোধার্য্য করিয়া না লইলে, সর্ব্বশাস্ত্রবেত্তা তর্কবাচস্পতি মহাশয়ের মানরক্ষা হয় না।


 তিনি কহিয়াছেন,

  “বিদ্যাসাগরও, এই মনুবাক্য অপূর্ব্ববিধির স্থল বলিয়া অঙ্গীকার করিয়াছেন; এক্ষণে স্বোক্তবিরুদ্ধ নির্দ্দেশ করিলে, কিরূপে তাঁহার বিমৃশ্যকারিতা থাকিতে পারে।”

এস্থলে বক্তব্য এই যে, উল্লিখিত মনুবচনে ধর্ম্মার্থ বিবাহের যে বিধি আছে, পূর্ব্বে আমি ঐ বিধিকে অপূর্ব্ববিধি ও ঐ বিধি অনুযায়ী


  1. (২১)ধর্ম্মতত্ত্বং বুভুতৃসুনাং বোধনায়ৈব মত্‌কৃতিঃ।