পাতা:বাঁশরী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

বাস্‌, দুই পক্ষে হয়ে গেল শোধবোধ। এখন দু-জনেই অঋণী হয়ে আপন আপন পথে চললুম। আর কী চাই।

সোমশংকর।

 বাঁশি, যদি কিছু বলতে যাই নির্বোধের মতো বলব। বুঝলুম আমার আসল কথাটা বলা হবে না কোনদিনই। আচ্ছা তবে থাক্।...অমন চুপ করে আমার দিকে চেয়ে আছ কেন? মনে হচ্ছে দুই চোখ দিয়ে আমাকে লুপ্ত করে দেবে।

বাঁশরী

 আমি তাকিয়ে দেখছি একশো বছর পরেকার যুগান্তে। সে দিকে আমি নেই, তুমি নেই, আজকের দিনের অন্য কেউ নেই। ভুল বোঝার কথা বলছ! সেই ভুল বোঝার উপর দিয়ে চলে যাবে কালের রথ। ধুলো হয়ে যাবে, সেই ধুলোর উপরে বসে খেলা করবে তোমার নাতি নাৎনীরা। সেই নির্বিকার ধুলোর হোক জয়।

সোমশংকর

 এ গয়নাগুলোর কোথাও স্থান রইল না; যাক তবে। (ফেলে দিলে ফোয়ারার জলাশয়ে।)

 সুষমার বোন সুবীমার প্রবেশ। ফ্রক্‌ পরা, চষমা চোখে, বেণী দোলানো, দ্রুতপদে-চলা এগারো বছরের মেয়ে।

৩২