পাতা:বাঁশরী - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

সাহস থাকে। দেখলুম দুর্ভেদ্য দুর্গও আছে। মেয়েদের সাংঘাতিক বিপদ সেই বন্ধ কপাটের সামনে, ডাকও আসে সেইখান থেকে, কপালও ভাঙে সেইখানটায়।

ক্ষিতীশ।

 আচ্ছা বাঁশি, সত্যি করে বলল সন্ন্যাসী তোমারও মনকে টেনেছিল কিনা।

বাঁশরী

 দেখো, সাইকলজির অতি সূক্ষ্ম তত্ত্বের মহলে কুলুপদেওয়া ঘর। নিষিদ্ধ দরজা না খোলাই ভালো, সদর মহলেই যথেষ্ট গোলমাল, সামলাতে পারলে বাঁচি। আজ যে পর্যন্ত শুনলে তার পরের অধ্যায়ের বিবরণ পাওয়া যাবে একখানা চিঠি থেকে। পরে দেখাব।

ক্ষিতীশ

 ঘরের মধ্যে চেয়ে দেখো, বাঁশি। পুরন্দর আঙটি বদল করাচ্ছে। জানলার থেকে সুষমার মুখের উপর পড়েছে রোদের রেখা। স্তব্ধ হয়ে বসে আছে, শান্ত মুখ, জল ঝরে পড়ছে দুই চোখ দিয়ে। বরফের পাহাড়ে যেন সূর্যাস্ত, গলে পড়ছে ঝরনা।

বাঁশরী

 সোমশংকরের মুখের দিকে দেখো, সুখ না দুঃখ, বাঁধন পরছে না ছিঁড়ছে। আর পুরন্দর, সে যেন ঐ সূর্যেরই

৫১