১০
দারোগার দপ্তর, ১৬৬ সংখ্যা।
জোড়াসাঁকোয় আনিতে পারেন। আপনি সেখানে যাইলে আমি কৌশলে তাহাকে আপনার সাক্ষাতে আনিতে পারিব।”
আমি হাসিয়া বলিলাম, “উত্তম পরামর্শ করিয়াছেন। কিন্তু অধিক বিলম্ব করিবেন না। আপনার পুত্রের বিবাহ কবে?”
অ। আজ বুধবার আর বুধবারে।
আ। তবে এখনও ছয়দিন দেরী।
অ। আজ্ঞে হাঁ। বলেন ত আজই সুধাকে জোড়াসাঁকোয় আনাইবার চেষ্টা করি।
অ। বেশ—তাহাই করুন। আমি আপনার জন্য অপেক্ষা করিয়া থাকিব। আপনি বেলা একটার সময় সংবাদ দিবেন।
অমরেন্দ্রনাথ চলিয়া গেলেন। আমিও স্নানাহার সমাপন করিয়া হাতের কাজ সারিলাম। বেলা একটার কিছু পরেই অমরেন্দ্র পুনবার আমার বাসায় আসিলেন। বলিলেন, “সুধা আজই বেলা তিনটার সময় জোড়াসাঁকোয় আসিবে। সম্ভবত সে আজ সেই স্থানেই থাকিবে। আপনি যখন যাইতে ইচ্ছা করেন?”
আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, “সুধার খুড়া মহাশয় কিছু বলিলেন না?”
অ। আজ্ঞে না, তবে তিনি বলিয়া দিয়াছেন যে, সুধাকে আজই ফিরিতে হইবে।
আ। যিনি আনিতে গিয়াছিলেন, তিনি কি উত্তর করিলেন?
অ। তিনি বলিয়াছেন, যদি অধিক বিলম্ব হয়, তাহা হইলে সে আজ ফিরিতে পারিবে না। সুধার খুড়া তাহার কথায় মনে