পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (একাদশ খণ্ড).pdf/৬৬৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

640 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : একাদশ খন্ড শিরোনাম উৎস তারিখ ১০০। পত্র-পত্রিকায় রণাঙ্গন সংবাদ | ----------- জুলাই-ডিসেম্বর, ১৯৭১ একজন পাক সেনা থাকা পর্যন্ত মুক্তিফৌজের সংগ্রাম চলবে মুজিবনগর। মুক্তিফৌজের দুই রণাঙ্গনের কমান্ডারদ্বয় মেজর খালেদ মুশাররফ ও মেজর জিয়াউর রহমান এক সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে বলেছেন, বাংলাদেশের পবিত্র মাটি থেকে পাক-সামরিক বাহিনীর একেবারে চলে না যাওয়া পর্যন্ত দেশের পরিস্থিতি কখনো শান্ত হতে পারে না এবং ততদিন পর্যন্ত মুক্তিফৌজের সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে। রণাঙ্গনে ওপর আক্রমণাত্নক তৎপরতা ততই জোরদার করে তুলছেন। গত তিন মাসে হানাদার সেনারা যেভাবে চরম মার খেয়েছে তার একটা ছোট্ট প্রমাণ মেলে বি-বি-সি’র প্রচারিত সংবাদের মাধ্যমে। গত ২৪শে জুন সন্ধ্যা সোয়া আটটার সংবাদ প্রবাহে বি-বি-সি’র সংবাদদাতা ঢাকা থেকে বলছেন, ‘বাংলাদেশে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর মুক্তিবাহিনী গেরিলাদের হাতে পাক বাহিনীর ক্ষয়ক্ষতির যে তথ্য আমি সংগ্রহ করেছি তার ভগ্নাংশও সত্য হলে তা হবে ভয়াবহ। অন্যদিকে রয়টারের সংবাদদাতা হাওয়ার্ড হুইটেন জানাচ্ছেন, ‘প্রতিদিনি ৫০/৬০ জন আহত মতে বাংলাদেশের দখলীকৃত ঢাকায় হানাদার পাক-সেনাদের বিরুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর আক্রমণাত্মক তৎপরতা প্রতিদিন জোরদার হচ্ছে।’ সাতক্ষীরায় ৬০০ জন নিশ্চিহ্ন সাতক্ষীরায় মুক্তিবাহিনীর আক্রমণে ৬০০ শত্রসেনা নিহত হয়েছে। এছাড়া মোট ২৬টি আক্রমণে তারা ৩০০ জন পাকসেনাকে খতম করেন। ভোমরা, পারুলিয়া, মাহমুদপুর, খুসকালি, শ্রীপুর ও কাকডাঙ্গায় আক্রমণ চালানো হয। ফেনীতে প্রচন্ড সংঘর্ষে ৫ শতাধিক শক্রসেনা খতম পূর্বাঞ্চল সেক্টরের ফেনী মহকুমায় গত এক পক্ষ কালের প্রচন্ড সংঘর্ষে স্বাধীনতাকামী তরুণ যোদ্ধাদের হাতে প্রায় পাঁচ শত পাকিস্তানী শত্রসেনা খতম হয় এবং দু’শত জন মারাত্মকভাবে আহত হয়। স্বাধীন বাংলা বেতারের খবরে প্রকাশ, উক্ত সংঘর্ষে আমাদের মুক্তিসেনাদের ৫০ জন কমান্ডো আহত হন। গত ৪ঠা জুন খান সেনাদের গতিরোধ করার উদ্দেশ্যে পাঠান নগরের বশিকপুর সেতুতে মুক্তিবাহিনীর পোঁতা মাইনে বিস্ফোরণের পর এ সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় এবং এক পক্ষকাল ধরে এই সংঘর্ষ চলতে থাকে। কুমিল্লা রণাঙ্গনে গেরিলা বাহিনীর হাতে প্রায় ৯০ জন খান সেনা নিহত হয়। পরে মুক্তিযোদ্ধাদের তাড়া খেয়ে পাক-ফৌজ কর্নেল বাজারে আশ্রয় নেয়। গত ২২শে জুন কুমিল্লা মান্দাভাগে ৫ জন সৈন্য নিহত হয়।