পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (চতুর্থ খণ্ড).pdf/৫৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

513 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিল : চতুর্থ খন্ড আওয়ামী লীগ, কমিউনিষ্ট পার্টি, ন্যাপ ও মুক্তিযুদ্ধ ১২ সেপ্টেম্বর, ১৯৭১ কংগ্রেস সমবায়ে সংযুক্ত কমিটি গঠন আওয়ামী লীগ, কমিউনিস্ট পার্টি, ন্যাপ ও কংগ্রেস সমবায়ে সংযুক্ত কমিটি গঠন সংগ্রামী ঐক্য প্রতিষ্ঠার পথে শুভ পদক্ষেপ বিশেষ প্রতিনিধি ॥ বাংলাদেশের জাতীয় মুক্তির সংগ্রাম আরও সুষ্ঠুভঅবে পরিচালনার উদ্দেশ্যে গত বুধবার পাঁচটি সংগ্রামী দলের প্রতিনিধিদের সমবায়ে মন্ত্রিসভার পরামর্শদাতা কমিটি গঠিত হইয়াছে। এই কমিটিতে রহিয়াছেন বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দিন আহমদ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী খোন্দকার মুশতাক আহমদ, ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ, কমিউনিষ্ট পার্টির কমরেড মণি সিং, জাতীয় কংগ্রেসের শ্রীমনোরঞ্জন ধর ও ভাসানী ন্যাপের মওলানা ভাসানী। আওয়ামী লীগের দুইজন প্রতিনিধি এই কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হইবেন। তাঁহাদের নাম এখনও ঘোষণা করা হয় নাই। জনাব তাজউদ্দিন এই কমিটির আহবায়ক নির্বাচিত হইয়াছেন। গত বুধবার গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জনাব তাজউদ্দিন আহমদের আহবানে মুজিবনগরে উপরোক্ত দলগুলির নেতৃবৃন্দের দুই দফা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে পরামর্শদাতা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। বৈঠকে যোগদান করেন জনাব তাজউদ্দিন আহমদ, খোন্দকার মুশতাক আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, জনাব কামরুজ্জামান ও জনবা আবদুস সামাদ (আওয়ামী লীগ), কমরেড মণি সিং, অধ্যাপক মোজাফফর আহমদ, মওলানা ভাসানী ও শ্রীমনোরঞ্জন ধর। এখানে উল্লেখযোগ্য যে, বাংলাদেশের জাতীয় মুক্তির সংগ্রাম আর সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা এবং সংগ্রামী রাজনৈতিক দলগুলির তৎপরতা সমন্বয় সাধনের উদ্দেশ্যে একটি ঐক্যবদ্ধ জাতীয় মুক্তিফ্রন্ট গঠনের জন্য কমিউনিষ্ট পার্টি ও ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি প্রথমাবধি দাবি জানাইয়া আসিতেছিল। পরামর্শদাতা কমিটি’ জাতীয় মুক্তিফ্রন্টের সমার্থক না হইলেও ইহাকে সঠিক পথে এক ধাপ অগ্রগতি বলা যায়। ঐক্যফ্রন্টের সপক্ষে প্রয়োজনীয়তা উপলব্দি করেন। বুধবারের সর্বদলীয় বৈঠক খুবই আন্তরিকতাপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়। আশা করা যায় যে, ইহার ফল সুদূরপ্রসারী হইবে এবং বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে এই দিনটি উজ্জ্বল হইয়া থাকিবে। প্রস্তাবাবলী সর্বদলীয় বৈঠকে গৃহীত এক প্রস্তাবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্টপ্রধান শেখ মুজিবর রহমানের অবিলম্বে ও বিনাশর্তে মুক্তি দাবি করা হয়। অপর এক প্রস্তাবে বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামে আত্মদানকারী নাম জানা না-জানা সকল শহীদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে অকুণ্ঠ সমর্থন

  • বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টির সাপ্তাহিক মুখপত্র।