পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (চতুর্দশ খণ্ড).pdf/১০০৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

974 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ চতুর্দশ খন্ড কূটনৈতিক সূত্র থেকে বলা হয় যে, আট ট জাহাজ এখন বঙ্গোপসাগরে রয়েছে।’ বেসরকারী জাহাজী মহলও এন্টারপ্রাইজ এবং অন্য জাহাজগুলির চলাচলের খবরের সত্যতা সমর্থন করেছেন। উল্লিখিত সূত্র থেকে আরও জানানো হয়, ‘এন্টারপ্রাইজ’-এর সঙ্গে রয়েছে আক্রমণক্ষম জাহাজ ত্রিপোলী’। হেলিকপ্টারবাহী জাহাজ ত্রিপোল’-তে ২৩ টি হেলিকপ্টার আছে। অন্যান্য জাহাজের মধ্যে আছে ডেসট্রয়ার বা ডেসট্রয়াল রক্ষী জাহাজ ও টেন্ডার জাতীয় জাহাজ। একটি মহল থেকে বলা হয়-উপকূলে অবতরণের উপযোগী জলযানও এই সঙ্গে রয়েছে। নয়াদিল্লীর ওয়াকিবহাল মহল থেকে বলা হয়-সপ্তম নৌবহরের চলাচলের সংবাদে বাংলাদেশে মুক্তি সংগ্রামের কোন হেরফের হবে না। বোবা নীতি ওয়াশিংটনের খবরঃ সপ্তম নৌবহরের চলাচলের যে কোন খবর সম্পর্কে মার্কিন পররাষ্ট্র এখনও যথারীতি সম্পূর্ণ নীরব থাকার নীতি বজায় রেখেছে। আমেরিকায় ভারতীয় রাষ্ট্রদূত শ্ৰী ঝা আরও বলেন, তিনি নির্ভরযোগ্য সূত্রে সংবাদ পেয়েছেন যে, গত শুক্রবার একটি মার্কিন টাসক ফোরস’ (বিশেষ কাজের জন্য প্রেরিত মার্কিন বাহিনী) ভিয়েতনাম থেকে যাত্রা করেছে। এই বাহিনীটি বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানী সৈন্য, অসামরিক ব্যক্তি এবং ওই অঞ্চলে এখনও যেসব মার্কিন নাগরিক রয়েছে, তাদের সরিয়ে আনার চেষ্টা করতে পারে। ব্যবহারে আপত্তি করেননি। আমেরিকা বোম্বেটেসুলভ কূটনীতি (গানবোট ডিপলোমেসি) অনুসরণ করছে অভিযোগ করে শ্ৰী ঝা বলেন-এইভাবে জাহাজ পাঠিয়ে দেওয়ায় ভারসাম্যের অভাব এবং মাত্রাজ্ঞানের অভাব দেখা যাচ্ছে। শ্ৰী ঝা এই নৌবহরের অগ্রগতিকে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন পূর্ব ইউরোপ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভারপ্রাপ্ত মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্র সচিব শ্রী যোসেফ সিসকোকে ওই সংবাদ জানানো হয়। শ্রী সিসকো সংবাদের সত্যতা সরাসরি অস্বীকার করেন নি। সংসদে ক্ষোভ বুধবার নয়াদিল্লীতে সংসদের উভয় কক্ষে সদস্যরা বঙ্গোপসাগরে মার্কিন সপ্তন নৌবহরের প্রবেশ সম্পর্কে সরকারের কাছ থেকে বিবৃতি দাবী করেন। অবশ্য এ ব্যাপারে কোন বিবৃতি দেন নি।