৯ই আগস্ট পানিয়ারুপে এ্যামবুশে ১৪ জন পাকসেনা নিহত হয়। ১২ই আগস্ট লক্ষ্মীপুর গ্রাম এলাকায় এ্যামবুশে ৪ জন পাকসেনা নিহত হয়।
২৪শে আগস্ট কালামুড়া ব্রীজ ধ্বংস করা হয়। ৭ জন রাজাকারকে রাইফেলসহ ধরা হয়। ২৭শে আগস্ট পাক দালাল তবদীল হোসেনকে ধরা হয় এবং বিস্ফোরকের সাহায্যে উড়িয়ে দেয়া হয়। সে আশেপাশে ২৯ জন যুবতীকে পাক অফিসারদের সরবরাহ করেছিল। তাকে মেরে তার ছেলেমেয়েকে খবর দেয়া হয়েছিল। তার মেয়ে এসে আমাকে বলে যে সে আমার পিতা নয়। ২৮শে আগস্ট মাইজবার গ্রামে এক রেইডে ৩৬ জন পাকসেনাকে খতম করা হয়। ২৯শে আগস্ট একটি রাজাকারকে রাইফেলসহ ধরা হয়।
২২শে আগস্ট শ্রীপুর এলাকায় এ্যামবুশে ২ জন পাকসেনা খতম হয়। ২৫শে সেপ্টেম্বর লক্ষ্মীপুরে ২ জন খতম করা হয়। ২৭শে সেপ্টেম্বর ১ জনকে খতম করা হয়। ৯ই অক্টোবর রেইডে লক্ষ্মীপুর এলাকায় ৪ জন পাকসেনা খতম করা হয়। ১৫০০ এ্যামুনিশন, ১২টা গ্রেনেড, ৬টা চীনা রাইফেল, একটা স্টেনগান উদ্ধার করা হয়। ১০ই অক্টোবর পানিয়ারূপে, ৮ জনকে হত্যা করা হয়, রেইডে চালানো হয়। একজন সিপাহী মমতাজ শাহাদত বরণ করেন। ১৯শে অক্টোবর কামালপুর রেইডে ৪ জন নিহত হয়। ২১শে অক্টোবর কামারপুর এলাকায় একজন পাক অফিসার, একজন অপারেটরকে হত্যা করা হয়। রেইডে ২৪শে অক্টোবর কামালপুর এ্যামবুশে ৩ জনকে হত্যা করা হয়। ২৬শে অক্টোবর কামালপুর এলাকায় ৪ জনকে হত্যা করা হয়। ৩১শে অক্টোবর লক্ষ্মীপুর এলাকায় ৪ জন রাজাকারকে হত্যা করা হয়।
২রা নভেম্বর মঈনপুরে ৫ জন পাকসেনা ও ৩ জন রাজাকারকে হত্যা করা হয়। ১১ই নভেম্বর মঈনপুর ও কামালপুরে দুটো অপারেশনে মর্টারের সাহায্যে ১৬ জন পাকসেনা নিহত ও ১২ জন আহত হয়। ২০শে নভেম্বর লক্ষ্মীপুর ও মঈনপুর রেইডে ৬ জন পাকসেনা ও ২ জন রাজাকার নিহত হয়। ২১শে নভেম্বর লক্ষ্মীপুরে মর্টারের সাহায্যে রেইডে ৭ জন পাকসেনা নিহত হয়। ১১০০ এ্যামুনিশন ও একটি চীনা রাইফেল উদ্ধার করা হয়। ঐদিনই আমাদের আর্টিলারী ফায়ারে ওদের ১১ জন নিহত হয় মঈনপুর এলাকাতে। ২২শে নভেম্বর তাদের আর্টিলারী ফায়ারে তারু মিয়া আমাদের একজন ইপিআর শাহাদত বরণ করে। ২৪শে নভেম্বর পানিয়ারূপে এ্যামবুশে ১০ জন পাকসেনা নিহত হয়। ২৫শে নভেম্বর লক্ষ্মীপুর এ্যামবুশে ৩ জন নিহত হয়।
১৩ই ডিসেম্বর ধর্ম নামক (নাজিরহাট) জায়গায় ডিফেন্স করি। ১৪ই ডিসেম্বর নাজিরহাটে রেইড করা হয়। ১৩ জন পাকসেনা নিহত হয়। ১৬ই ডিসেম্বর নাজিরহাট দখল করি এবং পাকসেনারা আত্মসমর্পণ করে।
সাক্ষাৎকারঃ মেজর দিদার আতাউর হোসেন[১]
অক্টোবরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসার হওয়ার পর আমাকে 'কে' ফোর্সের অন্তর্ভুক্ত করে যুদ্ধ এলাকায় পাঠানো হলো। নভেম্বরের ১/২ তারিখের রাতে তুমুল বৃষ্টির মধ্যে আমাদের ৩টা কোম্পানী এবং ২য় বেঙ্গলের আরও ১টা কোম্পানী নিয়ে বেলুনিয়া পকেটে যেতে হয়। পরশুরাম ও ফুলগাজীর মাঝামাঝি পাকিস্তানীদের দুটি ক্যাম্পের মধ্যে প্রায় ১২শ গজের 'গ্যাপ' ছিল। এই গ্যাপের মধ্য দিয়ে রাতারাতি বাঙ্কার খুঁড়ে আমরা অবস্থান নিয়ে ফেলি। ভোরবেলা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একটা পেট্রোল পার্টি এই পথে আসে। এই পেট্রোল পার্টি আসছিল ফেনী ও বেলুনিয়া রেল লাইন দিয়ে একটি ট্রলিতে করে। ট্রলি যখন ঠিক আমাদের পজিশন-এর ১০০ গজ দূরে এসে পড়ে তখনই তাদের উপর আমরা হামলা চালাই। ট্রলিতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর একজন লেফটেন্যাণ্ট ছিল। তার সাথে আরও দশজন ছিল। তাদের সবাইকে ওখানে আমরা ঘায়েল করি। পাকিস্তান
- ↑ প্রকল্প কর্তৃক ২০-৭-৮০ তারিখে গৃহীত সাক্ষাৎকার।