পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দ্বাদশ খণ্ড).pdf/৪৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাংরাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ দ্বাদশ খণ্ড
৪৭০

 এই পরিপ্রেক্ষিতে শ্রী নারায়ণ বিপুল হর্ষধ্বনির মধ্যে বলেন, ফরাসী বুদ্ধিজীবি আঁদ্রে মালরো বাঙালী গেরিলাদের সাহায্যে এগিয়ে আসার যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানাতে হবে। আঁদ্রে মালরো শুধু একজন বিশিষ্ট লেখকই নন- তিনি স্পেনের যুদ্ধে একজন গেরিলা নেতা এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ফ্রান্সে বিরোধী নেতা ছিলেন।

 সামরিক শাসনের অবসানের জন্য পশ্চিম পাকিস্তানের ক্রমবর্ধমান সোচ্চার দাবির উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মর্মান্তিক ঘটনার জন্য যিনি প্রেঃ ইয়াহিয়া খানের চেয়ে কোন মতেই কমদায়ী নন, সেই ভুট্টোও আজ ওই দাবী জোর গলায় তুলেছেন। তিনি আরও বলেনঃ বালুচিস্তান, উত্তর পশ্চিম সীমান্ত ও সিন্ধুর মত ছোট ছোট প্রদেশও এখন ব্যাপক অসন্তোষ।

 তিনি বলেনঃ পূর্ব বাংলা নিছক এ উপনিবেশে পরিণত হয়েছে। নানা কারণে পশ্চিম পাকিস্তানী সামরিক ও অসামরিক অফিসারের একটা ক্ষুদ্র অংশে সেখানকার রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা সব সময় ভোগ করে আসছেন। কিন্তু তা সত্ত্বেও শেখ মুজিবুর এবং তাঁর দল কখনো পাকিস্তান থেকে রেরিয়ে আসার কথা ভাবেনি। বরং মুজিব বলেছেন, সংখ্যাগরিষ্ঠরা কখনই সংখ্যালঘুদের কাছ থেকে বেরিয়ে আসেনি।

 পাকিস্তানের ঘটনাবলীর পটভূমিকা বিবৃতি করে শ্রী নারায়ণ বলেন, পাকিস্তান ভেঙ্গে যাওয়ার জন্য বাংলাদেশের নেতারা দায়ী নন- দায়ী পাকিস্তানী জংগীশাহী।