পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দ্বাদশ খণ্ড).pdf/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাংরাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ দ্বাদশ খণ্ড
৩১

 প্রধানমন্ত্রী শ্রীমতি গান্ধী মন্ত্রিসভাকে জানান যে, ভারত পাকিস্তানের বিচ্ছিন্নতায় উৎসাহী নয়। বাংলাদেশে যে অশান্ত, তা পাকিস্তানের নিজেদেরই সৃষ্ট। কিন্তু “ঐসব ঘটনা সম্পর্কে আমরা উদাসীন থাকতে পারিনা।কারণ আমরা ভারতের শান্তি ও স্থায়িত্বে আগ্রহী। ভারতের শান্তি ও স্থায়িত্বকে বিঘ্নিত করে এমন যে কোনও ঘটনাই আমাদের স্বার্থের সঙ্গে জড়িত। বস্তুত আমরা মনে কারি, ভারতে শান্তি ও স্থায়িত্ব পাকিস্তানের উপরেও একটা নিয়ামক প্রভাব বিস্তার করবে।”

 প্রধানমন্ত্রী কার্যকরীভাবে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির মোকাবেলা করার উপরেও জোর দেন।

 পশ্চিমবঙ্গের সমস্যা সম্পর্কে কেন্দ্র যে সর্বদা রাজ্য সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ট যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে, তা জানিয়ে শ্রীপন্থ বলেন যে, শরণার্থীদের কতো দ্রুত ও কী পরিমাণে এই রাজ্য থেকে অপসারণ করা যায় সে বিষয়ে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা করার জন্য আগামী সোমবার পশ্চিমবঙ্গের দু’জন অফিসার দিল্লী যাচ্ছেন। শরণার্থীদের শিবিরের প্রশাসন চালাবার ব্যাপারে রাজ্য সরকারকে যতোটা সম্ভব দায়িত্বমুক্ত করার জন্যও কেন্দ্র চেষ্টা করবে।

 তিনি আরো জানান, ভারতের বিভিন্ন মন্ত্রী বিদেশী রাষ্ট্রগুলিকে বাংলাদেশ থেকে উদ্ভূত সমস্যা ব্যাখ্যা করতে এবং এই সমস্যা সমাধানে কতোটা তারা সাহায্য করতে পারে তা জানাবার জন্য সফরে যাচ্ছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী সিদ্ধার্থ শঙ্কর রায় চারটি রাষ্ট্র সফর করবেন।

 মন্ত্রিসভার সঙ্গে আগে প্রধানমন্ত্রী সেনাবাহিনী ইস্টার্ন কমাণ্ড-এর জি, ও, সি, লেঃ জেঃ জগজিৎ সিং আরোরা, পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল শ্রী প্রসাদ বসু, কলকাতার পুলিশ কমিশনার শ্রী রঞ্জিত চ্যাটার্জির সঙ্গে আলোচনা করেন।

 দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার দরুন প্রধানমন্ত্রীর দিল্লী প্রত্যাবর্তন আজকের মতো স্থগিত রাখছেন। আগামীকাল তিনি ফিরে যাবেন।