পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩২২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

295 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ দ্বিতীয় খন্ড সাত] প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে কার্যকরী সামরিক শক্তি ও সমর-সজ্জার ব্যাপারে উভয় অঞ্চলের মধ্যে সমতা বিধান করা পাকিস্তান সরকারের শাসনতান্ত্রিক দ্বায়িত্ব হইবে। এই উদ্দেশ্যেঃ (ক) পূর্ব-পাকিস্তানে সামরিক একাডেমী, অস্ত্র-নির্মাণ কারখান, ক্যাডেট কলেজ ও স্কুল স্থাপন করিতে হইবে। (খ) দেশরক্ষা বাহিনীর তিনটি বিভাগেই পূর্ব-পাকিস্তান হইতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক লোক নিয়োগ করিতে হইবে। (গ) নৌবাহিনীর সদর দফতর পূর্ব-পাকিস্তানে স্থানান্তরিত করিতে হইবে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের সমসংখ্যক সদস্য সম্বলিত একটি ডিফেন্স কাউন্সিল গঠন করা হইবে। আট] এই ঘোষণায় শাসনতন্ত্র’ শব্দ দ্বারা ১৯৫৬ সালের শাসনতন্ত্র বুঝায়- যাহা অবিলম্বে জারী করা হইবে। এই শাসনতন্ত্র চালু করিবার ছয় মাসের মধ্যে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক আইন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে। জাতীয় পরিষদের প্রথম অধিবেশনেই এই কর্মসূচীর দুই হইতে সাত নম্বর দফাসমূহকে শাসনতন্ত্রে সন্নিবেশিত করা হইবে। উপরোক্ত লক্ষ্যসমূহ বাস্তবায়নের জন্য পাকিস্তান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের অন্তর্ভক্ত সকল রাজনৈতিক দল ও প্রতিষ্ঠান ঐক্যবদ্ধ এবং পৃথকভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হইলেন। সাংগাঠনিক কাঠামো উপরোক্ত লক্ষ্য অর্জনের এবং অগণতান্ত্রিক মনোবৃত্তির বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সংগ্রাম করার উদ্দেশ্যে নিম্ন স্বাক্ষরকারী দল ওসংস্থাসমূহ পাকিস্তান গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধমে সক্রিয় ঐক্য প্রচেষ্টা ও গণমনে আবেদন সৃষ্টির জন্য একটি কর্মপ্রবণ ঐক্যজোট গঠনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছেন।এই আন্দোলন সুপরিচিত গণতান্ত্রিক পন্থায় পরিচালিত হইবে এবং কোরআন ও সুন্নাহবিরোধী কোন পদ্ধতি অবলম্বন করিবে না। ১।সংশ্লিষ্ট দলের সভাপতি ও চেয়ারম্যানসহ প্রত্যেক অংগদলের ৬ জন করিয়া সদস্য সমন্বয়ে একটি জাতীয় কর্মপরিষদ গঠিত হইবে। এই কর্মপরিষদ সর্বসম্মত কর্মসূচী সম্পর্কে অংগদলসমূহের পক্ষ হইতে প্রতিনিধিত্ব করিবার ও কার্য পরিচালনার পূর্ণ ক্ষমতার অধিকারী হইবে। কর্মপরিষদ সর্বসম্মতভাবে অনূর্ধ্ব ৬ জন সদস্য কো-অপট করিতে পরিবে। ২ জাতীয় কর্মপরিষদ আপন সদস্যগণের মধ্য হইতে প্রতি বৎসর নিম্ন কর্মকর্তগণকে নির্বাচন করিবেন। সভাপতি ১ জন, সহসভাপতি ২ জন, সাধারন সম্পাদক ১ জন, যুগ সম্পাদক ১ জন, কোষাধক্ষ্য ১ জন। ৩।জাতীয় কর্মপরিষদের অনুরূপ উভয় প্রদেশের জন্য একটি করিয়া আঞ্চলিক কর্মপরিষদ থাকিবে। আঞ্চলিক কর্মপরিষদ আবার জিলা ও নিম্ন পর্যায়ে অনুরূপভাবে কমিটি গঠন করিতে পারবে। এই শাখাসমূহ উক্ত কর্মসূচী ও জাতীয় কর্মপরিষদের গৃহীত নীতি মানিয়া চলিতে বাধ্য থাকিবে। ৪ প্রত্যেক প্রদেশের অন্ততঃ ৫ জন সদস্যসহ ১৫ জন সদস্য দ্বারা জাতীয় কর্মপরিষদের কোরাম গঠিত হইবে।