পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (দ্বিতীয় খণ্ড).pdf/৩৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

371 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ দ্বিতীয় খন্ড প্রথম দিনের এই অনুষ্ঠানে বিপুল পরিমাণ দর্শকের সমাবেশ ঘটে। কবিতা পাঠের আসরে গোলাম মোস্তফা, মোঃ মনিরুজ্জামান ও সিকান্দার আবু জাফর কবিতা পাঠ করেন। - অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন, আতিকুল ইসলাম। জুলাই ৭, ১৯৬৮ দৈনিক পাকিস্তান আল্লামা ইকবালের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন কেন্দ্রীয় বাংলা উন্নয়ন বোর্ডের ডিরেক্টর ডঃ এনামূল হক গতকাল শনিবার মহাকবি স্মরণোৎসবে বলেন যে, আনন্দ-সৌন্দর্য সব কবিই সৃষ্টি করতে পারেন কিন্তু জাতিকে ভবিষ্যতের পথ নির্দেশ ও চলার পাথেয় দেওয়ার মত কবি খুব বিরল। আল্লামা ইকবাল ছিলেন এমনি এক বিরল কবি। আমাদের সৌভাগ্য যে, আমরা আমাদের মাঝে এমন এক কবিকে পেয়েছি। ডঃ এনামুল হক বলেন, এদেশে দুজন কবি ঘুমন্ত জাতির জাগরণের বাণীতে দিলেন বজ্রকণ্ঠ। তাঁদের একজন ইকবাল, অন্যজন নজরুল ইসলাম। এরা আমাদেরকে আপন সত্তায় জাগ্রত করে দিয়েছেন। আলোচনা সভায় প্রবন্ধ পাঠ করেন মোঃ মাহফুজুল্লাহও জনাব মনিরুদ্দিন ইউসুফ। হল ভর্তি দর্শককে গতকালের অনুষ্ঠানও যথেষ্ট আনন্দ দেয়। জুলাই ১০, ১৯৬৮ দৈনিক পাকিস্তান মহাকবি স্মরেণোৎসব সমাপ্ত নজরুল দিবসের মধ্য দিয়ে হত মঙ্গলবার ঢাকার ইঞ্জিনিয়াস ইন্সটিটিউটে সমাপ্ত হয়েছে লেখক সংঘের পূর্বাঞ্চল শাখার আয়োজিত ৫ দিন ব্যাপী মহাকবি স্মরনোৎসব।............. আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আবদুল কাদির। প্রবন্ধ পাঠ করেন জনাব বোরহান উদ্দিন খান জাহাঙ্গীর ও জনাব রফিকুল ইসলাম। মহাকবি স্মরণোৎসবের শেষ দিনের এই অনুষ্ঠানে উৎসবের সর্বাধিক দর্শকের সমাবেশ ঘটেছিল। শেষদিনের অনুষ্ঠানের একটা বৈশিষ্ট্য ছিল। মঞ্চে রাখা হয়েছিল সাদা থোকাসহ পুষ্পগুচ্ছের একটি সেঞ্চরী ফ্লাওয়ার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউটের এডমিনিষ্ট্রেটিভ অফিসার জনাব আলী লেখক সংঘের এই অনুষ্ঠানের ফুলটি উপহার দেন।