পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (প্রথম খণ্ড).pdf/৭৭১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ প্রথম খন্ড
৭৪৬

Electorate hoping and trusting that when we have our constitution, and both the Hindus and Muslims get rid of the distrust, suspicion and fear and when they gel their freedom. they would rise to the occasion and probably separate Electorate will go sooner than most of us thought.” Now, Sir, in Pakistan Muslims and Hindus are not to get rid of the distrust, suspicion and fear are not to go, but are to be perpetuated by Separate Electorate.

 Now Sir, that is the position. Here the majority community are the Muslims. They were wanting Separate Electorate. That is a position which no one can understand. These are my submissions and I appeal to the House to consider this matter dispassionately and come to their considered decision in a calm way on the question whether Separate Electorate is to be the desideratum in the present context of things.

 Mr. MOHIUDDIN AHMEDP: Mr. Speaker. Sir. যুক্ত নির্বাচন ও পৃথক নির্বাচন লইয়া পাকিস্থানের রাজনীতিতে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হইয়াছে। এই জটিল ও বিতর্কমূলক বিসয়টাকে যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণঃ রাজকঃনৈতিক তাৎপর্যপূর্ণ বলিয়া মনে করিতে হইবে তারা গোড়াতেই বলিয়া রাখা দরকার যুক্ত নির্বাচন অথবা পৃথক নির্বাচন এই প্রশ্নটি কতিপয় বুদ্ধজীবীর মস্তিষ্কপ্রসূত এককদিনের একটি ঘটনা নহে, অথবা উহাকে খেয়ালীর খেয়াল বলিয়াও আখ্যা দেওয়া চলে না পাকিস্তান লাভের পর পাকিস্তানে;বিশেষ করিয়া পূর্বাকিস্তানে পূর্ব পাকিস্তানে জনগণের মুক্তি সাধনার যে কঠোর সংগ্রাম চলিয়া আসিতেছেল, সেই কঠোর সংগ্রামের স্বাভাবকি নিয়মেও প্রয়োজনের তাগিদে এই বিতর্ক বীজ জন্ম দিয়াছে। পাকিস্থানঃলাভের সাথে সাথে নির্বচন পদ্ধতির প্রসঙ্গটি কাহাকেও তত ভাবাইয়া তুলিতে পারে নাই। তাহার কারণ ছিকল এই যে; পাকিস্তানে অগণতান্ত্রিক রাজনীতির বিজয় পতাকা মুসলিম লীগ বহুদিন পর্যন্ত নির্বিঘ্নে উড়াইতে পারিয়াছিল। কিন্তু দীর্ঘ নয় বচরে পাকিস্তানের জনঘণ হতাশা, দুঃখ লাঞ্ছনা ও অত্যাচারের ভিতর দিয়া অনেক শিখিয়াছে। জনগণের চিন্তাধারার আমূল পরিবর্তন সাধিত হইয়াছে। জনগণ গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম করিতেও শিখিয়াছে। জনগণের চিন্তার এই বিকাশ প্রতিফলিত হইয়াচে বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে, ইতিমধ্যে পাকিস্থানের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওামী লীগ তাহার দ্বার জাতি ধর্ম বির্বিশেষে সকলের জন্য উন্মুক্ত করিয়াছে। অসাম্প্রদায়িক প্রতিষ্ঠান Repubican party, আজাদ পাকিস্থান পার্টি, গণতন্ত্রীদলের জন্ম হইয়াছে। এইঃঅসাম্প্রদায়িক কারণের ধারা কেবলমাত্র রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সীমাবদ্ধতা থাকে নাই ছাত্র ও যুব পতিষ্ঠানের মধ্যেও দেখা দিয়াছে। যুবলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্রীসংসদ অসাম্প্রদায়িক প্রতিষ্ঠান হিসাবে গড়িয়া উঠিয়াছে। অন্যতম বৃহত্তম ছাত্র প্রতিষ্ঠান ছাত্রলীগকেও অসাম্প্রদায়িক করা হইয়াছে। পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্থান এই উভয় অঞ্চলের পার্লামেণ্টারী রাজনীতিতে অম্প্রদায়িক গুরুত্ব লাভ করিয়াছে। পূর্ব পাকিস্থানের সরকার বিরোধী দলসমূহের কোয়ালিককশন গঠনে যুক্ত নির্বাচন গ্রগণ্য হইয়া দাড়াইয়াছে। পাকিস্থানের জাতীয় পতাকা নির্বাচনের সময় পতাকার চার অংশের এক অংশ সাদা রং এ রঞ্জিত করিয়া শাসকবর্গ এই সাম্প্রদায়িককতার সমাধান চাহিয়াছিলেন। সুতরাং যুক্ত নির্বচন প্রশ্নটি নিছক একটি পরিষদ ভবনের বিতর্কের পরিণতি বলিলে ভুল হইবে। পাকিস্থানের জনগণেওক্যের সূচনা এই যুক্ত নির্বাচন। এই দীর্ঘ নয় বৎসরের সংগ্রামের অভিজ্ঞতলদ্ধ জনগণের যাত্রাপথে ইহা একটি স্তব ইঙ্গিত। পাকিস্থানের ভবিষ্যৎ সমাজ জীবনের ইহা এক নব অধ্যায়।

 পৃথক নির্বাচন যে সমস্ত দল সমর্থন করিয়াছে, নেজামে ইসলাম, মুসলিম লীগ; জামাতে ইসলাম, জামায়তে ইসলাম প্রভৃতি দল তাহাদের অন্যতম। ইহা ছাড়াও কতিপয় গ্রুপ ও ব্যাক্তি পৃথক নির্বাচনের প্রতি সমর্থন জানাইয়াছেন। অসংখ্য পুস্তিকা ও যুক্তির জাল দ্বারা পৃথক বিাচনের সমর্থনে জনমত সৃষ্টি করিবার চেষ্টা করিতেছেন। পৃথক নির্বাচনের সমর্থকদের প্রধান যুক্তি এই যে, পাকিস্তান লাভের পিছনে যে দুই জাতিতত্তব ছিল, পৃথক নির্বচন মনিয়া না লইলে, এই জাততত্ত্ব ধ্বংস হইয়া পাকিস্থান লাভের মূল উদ্দেশ্যের ভিত্তির উপর আঘাত হানিবে। অর্থাৎ পাকিস্থানের হিন্দু ও মুসলমান, এদের পাকিস্থানের দুইটি জাতি হিসেবে বিভক্ত করিয়া