পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (ষষ্ঠ খণ্ড).pdf/৪৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

455 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্রঃ ষষ্ঠ খণ্ড জননী বাঙলা যেন জেলেছে নিজের দেহে সুবিশাল ধর্ষণের চিতা। মূঢ় দীর্ণ হৃদয়ের ব্যর্থ হাহাকার : হে সময়, কোথায় ভাসিয়ে নিয়ে যাও হাজার বছরের লেখা বাঙালীর দীপ্ত ইতিহাস? কেই নেই-কেউ নেই- বধির সময় কে দেবে উত্তর ! মুছে দিতে অপারগ যারা তাদের মিছিলে ভিড়ে বাঙলার মানচিত্র থেকে নিষ্ক্রান্ত আমিও। তারপর অনিশ্চিত পথে তাদের সবার সঙ্গে আমিও পথিক বারম্বার অচেনার দাক্ষিণ্য প্রত্যাশী। হৃদপাত্রে নৈরাশ্যের লাঞ্ছনা জমিয়ে মাঝে মাঝে ভাবি এই ব্যাধিজীর্ণ দেহ টেনে নিয়েফিরে যেতে পারব না পূর্ববঙ্গে আমার বাঞ্ছিত বাঙলা দেশে, মনে মনে পৃথিবীকে আমন্ত্রণ বুঝি আর জানানো হবে না। তখনি সহসা বেজে ওঠে যৌবনের বীর্যোদ্ধত কণ্ঠের আশ্বাস : এই ঘৃণ্য আঁধারের কণ্ঠনালী আমরা দুহাতে ছিড়বোই জেনো। বিনিময়ে শত শত নদী রক্তের অভাব নেই বাঙলার কোটি কোটি তরুণের দেহে বাঙলার মানচিত্রে তোমরাও ফিরে যাবে আমাদের সাথে অশক্ত দেহের ভর কাঁধে কাঁধে ভাগ করে নেবো বাঙলার কোল থেকে নিরুদ্দিষ্ট তাবৎ সন্তান সাথে নিয়ে সুনিশ্চয় তবু ফিরে যাবো