পাতা:বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র (সপ্তম খণ্ড).pdf/৬৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

612 বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ দলিলপত্র : সপ্তম খণ্ড সভাপতি সৈয়দ খাজা খয়ের উদ্দিন (৪) পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদক জনাব আতাউল হক খান (এডভোকেট), (৫) পাকিস্তান প্রাদেশিক মুসলিম লীগের যুগ সম্পাদক মোহাম্মদ আতাউল হক (এডভোকেট, (৬) পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক মুসলিম লীগের যুগ সম্পাদক নুরুল হক মজুমদার (এডভোকেট), (৭) ঢাকা শহর মুসলিম লীগের সভাপতি মোহাম্মদ সেরাজুদ্দিন (৮) পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক মুসলিম লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এ কে এম মুজিবুল হক (৯) ঢাকা জেলা মুসলিম লীগের সভাপতি কে এম সেরাজুল হক (১০) ঢাকা জেলা মুসলিম লীগের সম্পাদক নেজামুদ্দিন (১১) ঢাকা শহর মুসলিম লীগের সম্পাদক এ মতিন (এডভোকেট) দৈনিক পাকিস্তান, ৮ এপ্রিল, ১৯৭১। প্রেসিডেন্টের ব্যবস্থা সমর্থনের আহবান পিণ্ডি বারের ৮০ জন সদস্যের বিবৃতি রাওয়ালপিণ্ডি, ৭ই এপ্রিল (এপিপি): পাকিস্তানের শক্রদের উস্কানির দরুণ পূর্ব পাকিস্তানে সৃষ্টি সংকটের মোকাবিলার উদ্দেশ্যে প্রেসিডেন্ট যে ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন তার প্রতি পূর্ণ ও অকুণ্ঠ সমর্থন জ্ঞাপনের জন্য রাওয়ালপিণ্ডি বার সমিতির ৮০ জন সদস্য দেশের সকল দেশপ্রেমিক লোকের প্রতি আহবান জানিয়েছেন। গতকাল এক বিবৃতিতে আইনজীবীরা প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান কর্তৃক সোভিয়েট প্রেসিডেন্ট মিঃ এন পদগনির লিপির জবাবে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। যথোপযুক্তভাবে পত্রের জবাবে পাকিস্তানের জনগণের মনোভাব প্রতিফলিত হয়েছে বলে তারা উল্লেখ করেন। বিবৃতিতে বলা হয়, সাধারণভাবে সমগ্র বিশ্বের নিকট এবং বিশেষ করে ভারত সরকারকে এটা পরিষ্কার করে আমরা জানিয়ে দিতে চাই যে, পাকিস্তানের সংহতি রক্ষার জন্য দেশের সমস্ত মানুষ পাকিস্তানের শক্ৰদের দূরভিসন্ধি নস্যাৎ করে দিতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের পেছনে ঐক্যবদ্ধ রয়েছেন। বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, পাকিস্তানের শুরু থেকেই আইনজীবী সম্প্রদায় পাকিস্তানের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য ও সংহতি রক্ষার সংগ্রামের প্রথম সারিতে রয়েছে। আইনজীবীরা পাকিস্তানের সংহতি রক্ষার জন্য প্রেসিডেন্টের নেতৃত্বে যে কোন পদক্ষেপের প্রতি পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস প্রেসিডেন্টকে দিয়েছেন। দৈনিক পাকিস্তান, ১ এপ্রিল, ১৯৭১। আওয়মী লীগ ভারতের পক্ষেই কাজ করছিল কাজী কাদের করাচী, ৮ ই এপ্রিল (এপিপি)। পাকিস্তান মুসলিম লীগের (কাইয়ুম গ্রুপ) প্রধান সংগঠক জনাব কাজী সময়োচিত পদক্ষেপ এবং একই সাথে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে ভারতের হস্তক্ষেপ ইত্যাদি ব্যাপারে একটি কথা সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হয়েছে। তাহলো, আওয়ামী লীগ নেতারা পাকিস্তানের পরম শক্ৰ ভারতের পক্ষেই কাজ করছিলেন। তিনি এখানে এক সাংবাদিক সম্মলনে বক্তৃতা করছিলেন। পূর্ব পাকিস্তানের সাবেক খাদ্য ও কৃষিমন্ত্রী জনাব কাদের শেখ মুজিবুর রহমানের এবং বে-আইনী আওয়ামী লীগ নেতৃত্বের নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন সমস্ত অরাজকতার জন্য শেখ মুজিবুর রহমানই দায়ী।