পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২8 बांश्जांश्च बं डू প্রভৃতি বিশ্বভারতীর বিভিন্ন বিভাগ। স্বৰুলে পূর্বে ইংরেজদের এক কুঠি ছিল। এখানকার প্রথম কুঠিয়াল শ্ৰীযুত জনু চীপ ৪১ বৎসর কাল স্বরূলে অবস্থান করিয়াঞ্ছিলেন। সাধারণ শিক্ষার জন্য বিশ্বভারতীর আদ্য, মধ্য ও অন্ত পরীক্ষার এবং কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাট কুলেশন, আই-এ, আই-এসসি ও বি, এ, পরীক্ষার ব্যবস্থাও এখানে আছে। ইহা ছাড়া চিত্রবিদ্যা, ভাস্কৰ্য্য, কাঠ ও যন্ত্র সঙ্গীত, ভারতীয় নৃত্য, কৃষিবিদ্যা, ৰয়নশিল্প, প্রভূতির ব্যবস্থাও আছে। শাস্তিনিকেতনে পৃথক ডাক ও তারার, বিজলীআলো, জলের কল ও ছোট একটি হাসপাতাল আছে। এখানে একটি প্রকাণ্ড গ্রন্থাগার, বালকদের জন্য অনেকগুলি ছাত্রাবাস ও বালিৰাদের জন্য শ্রীভবন নামে একটি সুন্দর ছাত্রীনিবাস আছে। বিশ্বভারতীর খ্যাতি আজ সমগ্র বিশ্বব্যাপী। ইংলণ্ড, ফ্রান্স, ইতালী, জার্মানী, চীন, জাপান, ইরাণ প্রভূতি বহু দেশের মনীষী এই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন ও অধ্যাপনা সুত্রে আগমন করিয়াছেন। শাস্তিনিকেতন শুধু বাংলার বা ভারতের নহে, সমগ্র এশিয়ার গৌরবস্থল। বোলপুর হইতে ভারতীয়গণের মধ্যে প্রথম প্রাদেশিক শাসন কর্তা লর্ড সিংহের জন্মস্থান রাইপুর বাইতে হয়। পাশ্ব বৰ্ত্তী পল্লী সুপুরে স্বরধরাজার পূজিত বলিয়। কথিত সুরথেশ্বর শিব বর্তমান। প্রবাদ সুরথ রাজা চণ্ডিকার নিকট লক্ষ বলি প্রদান করিলে এই স্থানের নাম হয় বলিপুর। বোলপুর নাম বলিপুর হইতে হইয়াছে বলিয়া লোকের বিশ্বাস। বোলপুরের চারি মাইল পূবেৰ্বাত্তরে শিয়ান নামক গ্রামে ঋষ্যশৃঙ্গ মুনির আশ্রম ছিল বলিয়া জনশ্রুতি আছে। এখানে মুনিকুণ্ড নামক একটি শীতল প্রস্রবণ আছে। উত্তরায়ণ সংক্রাস্তিতে এখানে একটি বড় মেলা হয় ও বহুলোক এই কুণ্ডে স্নান করিয়া থাকেন। কথিত আছে যে অঙ্গদেশের রাজা লোমপাদ ঋষ্যশৃঙ্গ মুনিকে ভুলাইয়া লইয়া গিয়া নিজ কন্যার সহিত বিবাহ দিলে তাহার পিতা বিভাণ্ডক মুনি এই স্থান হইতে চলিয়া গিয়া ভাওঁীরবনে নূতন আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। [ শিউড়ী দ্রষ্টব্য । ] বোলপুর হইতে ১১ মাইল পশ্চিমে ইলামবাজার গালা ও লাক্ষা শিল্পের জন্য প্রসিদ্ধ। ইলামবাজার ছাড়াইয়া বোলপুর স্টেশন হইতে ১৮ মাইল পশ্চিমে মোটরবাসযোগে গীতগোবিন্দের কৰি জয়দেবের জন্মস্থান কেন্দুবিৰ বা কেঁদুলিতে যাওয়া যায়। কবির প্রতিষ্ঠিত রাধামাধবজীউ আজও নিত্য পূজিত হইতেছেন। ষে আসনে বসিয়া কবি সিদ্ধিলাভ করিয়াছিলেন তাহ আজিও সযত্বে রক্ষিত আছে। মকর সংক্রাস্তির দিন কেঁদুলীতে জয়দেব গোস্বামীর মহোৎসব নামে একটি বৃহৎ মেলা হয়। মেলায় লোকশিল্পের নিদর্শন স্বরূপ কিছু কিছু জিনিস পাওয়া যায়। এই মেলার একটি বিশেষ অঙ্গ হইল গীতগোবিন্দ গান করা। এই কাব্যের জাদর ভারতবর্ষের সবর্বত্র। পুীৰামে জগন্নাথদেবের পূজা পাঠে ইহা নিত্য গীত হয়। অগুলি জংশনের নিকটবর্তী মেন লাইনের দূর্গাপুর স্টেশন হইতেও মোটরবাসযোগে কেলুবিল্বে যাওয়া যায়। অণ্ডাল-সাঁইথিয়া শাখার দুবরাজপুর স্টেশন হইতেও বাওয়া চলে। - * কেঁদুলীর অনতিদূরে অজয় নদের দক্ষিণ তীরে প্রাচীন ত্রিমঈগড় বা ইছাই ঘোষের অজয় করিয়া তিনি অজয়তীরে এক দেউল নিৰ্মাণ করেন ও জথায় তাহার উপাস্যা দেৰী শ্যামৰূপাকে প্রতিষ্ঠিত করেন। এই শ্যামারূপ আজও পূজা পাইতেছে। চেকুরের নিকটবর্তী লাউসেনতালাও,