পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলা নাগপুর রেলপথে S 86. প্রাচীন দন্তপুর। দাঠাবংশে স্পষ্ট উল্লিখিত আছে যে তাম্রলিপ্ত হইতেই বুদ্ধদন্ত সিংহলে প্রেরিত হয়। পুরীও তৎকালে একটি প্রধান বন্দর ছিল। সুতরাং পুরী বা রাজমহেন্দ্রী হইতে দস্তটি পুরীবন্দর দিয়াই প্রেরিত হইবার কথা । তাম্রলিপ্ত হইতে উহা প্রেরিত হওয়ায় অনেকে মনে করেন যে নিকটস্থ দাঁতনই প্রাচীন দন্তপুর। দাতন যে একটি বহু পুরাতন স্থান তাহা এখনও দেখিলে বুঝিতে পারা যায়। দাঁতনের অনতিদূরে শরশঙ্ক নামে একটি সুবৃহৎ জলাশয় আছে। উহার দৈর্ঘ্য ৫,০০০ ফুট ও প্রস্থ ২,৫০০ ফুট । বাংলাদেশে এরূপ দীঘি অতি অল্পই আছে। জনশ্রুতি যে শশাঙ্কদেব নামক জনৈক নৃপতি পুরীগমন কালে বাংলা ও ওড়িষ্যার সীমান্তে এই দীঘি প্রতিষ্ঠা করেন। দাতনে “ বিদ্যাধর” নামে পরিচিত ১,৬০০ ফুট দীর্ঘ অপর একটি দীঘি আছে। বিদ্যাধর নামক জনৈক রাজমন্ত্রীর দ্বারা ইহা খনিত হইয়াছিল বলিয়া খ্যাত। প্রবাদ, সাটার নীচে দিয়া শরশঙ্ক ও বিদ্যাধর দীঘিকে সংযুক্ত করিয়া ৪ হাত উচচ ও ৩ হাত প্রশস্ত একটি প্রস্তর নিৰ্ম্মিত সুড়ঙ্গ আছে। মোগলমারী--দাঁতন হইতে দুই মাইল উত্তরে মোগলমারী নামে একটি গ্রাম আছে। এখানে “ শশিসেনার পাঠশালা ” নামে পরিচিত একটি প্রাচীন ইষ্টক স্তৃপ দেখিতে পাওয়া যায়। প্রবাদ, এই স্থানে রাজা বিক্রম কেশরীর কন্যা শশিসেনা বা সঙ্গীসেনার সহিত অহিমাণিকের প্রথম সাক্ষাৎ হয় এবং প্রথম হইতেই উভয়ে উভয়ের প্রতি আকৃষ্ট হন। শশিসেনা ও অহিমাণিকের প্রণয়-কথা কবি ফকিররামের “ সখিসোনা” কাব্যে বিবৃত হইয়াছে। মোগলমারী গ্রামে ১৫৭৬ খৃষ্টাব্দের ৩রা মাচর্চ তারিখে তোড়রমল পরিচালিত মুঘল বাহিনীর সহিত ভীষণ যুদ্ধে সোলেমান কররানীর পুত্র দাউদ শাহ পরাজিত হন। এই যুদ্ধে জয়লাভ করিলেও মুঘল পক্ষের বহু সেনা নিহত হয়। সেই জন্য এই গ্রামের নাম হয় “ মোগলমারী ”। عیه * ح-عتے پ ÀÄ* k': ...So os, ዝ በእ