পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ববঙ্গ রেলপথে বাংলাদেশ - ১৭ রাম নবমী উপলক্ষে বহু লোকের সমাগম হয়। তাহা ছাড়া বৈশাখ মাসের প্রতি শনি ও মঙ্গলবারে ছোটখাট মেলা হইয়া থাকে। শেরপুর হইতে এই স্থানে ঘোড়ার গাড়ীতে অথবা পদব্ৰজে যাইতে হয় | - - শেরপুর হইতে ৪ মাইল পশ্চিমে কাশীপাড়া গ্রামে একটি অষ্টভুজ কঙ্কালসার চামুণ্ড মুক্তি দৃষ্ট হয়। শায়িত ভৈরবের উপর দেবী পদ্মাসনে উপৰিষ্ট। শেরপুর হইতে ৬ মাইল পশ্চিমে BBBB BBB BB BBBB BBBSBBB BBBBB BB BBBBBG eeBBB DDD জঙ্গলে চিতা বাঘ প্রভৃত্তি দৃষ্ট হয়। : . . . . .'; e সোনাতলা—কলিকাতা হইতে ২১৬ মাইল। ইহা একটি বড় * স্টেশনের পূর্বদিকে নিকটেই গড় ফতেপুর নামক একটি প্রাচীন দুগের ধংসাবশেষ দৃষ্ট । ইহা কামতাপুর রাজ নীলাম্বরের দুগ ছিল বলিয়া কথিত। গৌড়েশ্বর হুসেন শাহ কর্তৃক ইনি পর্যাজিত হইলে সম্ভবতঃ গড় ফতেপুর মুসলমান গণের অধিকারে আসে। দিনহাটা স্টেশন ষ্ট্ৰৰ : মহিমাগঞ্জ-কলিকাতা হইতে কিঞ্চিদধিক ২২০ মাইল । નનયં. și ੇ ਬੈ। নদীর উপর রেলের পুল আছে। স্টেশন হইতে নদী পৰ্যন্ত একটি বাট সাইটিং আছে। বাঙ্গালী নদীর উপরিভাগ আলাই ও তাহার উপর ঘাঘট নামে পরিচিত; ঘাঘট এককালে তিভার একটি প্রধান শাখা छ्लि । - * . . . . স্টেশন হইতে ৬ মাইল পশ্চিমে বৰ্দ্ধনকোট একটি পুরাতন স্থান ; এখানে এখবর জমিদারের বাস আছে। গ্রামের নিকটে সবৰ্বমঙ্গলা ও শ্যামসুন্দর নামে দুইটি ভগ্নপ্রায় মদির ও কিছু কিছু ধংসাবশেষ দৃষ্ট হয়। মন্দির দুটির শিলালেখ হইতে জানা যায় যে ১৬০১ খৃষ্টাব্দে বর্তমান জমিদার বংশের পূর্বপুরুষ রাজা ভগবান কর্তৃক এই মন্দির দুইটি প্রতিষ্ঠিত হইয়াছিল। বৰ্দ্ধনকোট হইতে আড়াই মাইল পশ্চিমে গোবিন্দগঞ্জ থান এবং তথা হইতে ৮ মাইল পশ্চিমে বিরাট নামক গ্রামে প্রতি বৎসর একমাস ব্যাপী মেলা বসিয়া থাকে; বিহার হইতে জানীপ্ত গবাদি পশু মেলায় বিক্রীত হয়। বগুড়া প্রসঙ্গে বিরাটের কথা বলা হইয়াছে। । বোনারপাড়া জংশন-কলিকাতা হইতে ২২৫ মাইল গুই। ই স্থান হই;ে লাইন ১১ মাইল দূরবর্তী তিস্তামুখ ঘাট পৰ্যন্ত গিয়াছে। এই পথে খেল ৮ মাইল দূরবর্তী তিস্তামুখ ঘাটের আগের স্টেশন ফুলছড়ি একটি উল্লেখযোগ্য ব্ৰহ্মপুত্র নদের তীরে অবস্থিত একটি বিখ্যাত বাণিজ্য কেন্দ্র। লকাতা ইতে বাহী স্টীমার আসামে যায় তাহার অধিকাংশই ফুলছড়িতে ধরে। ফুলছড়ি হইতে ব্ৰহ্মপুত্র মদের পূর্বতীরে অবস্থিত বাহাদুরাবাদ পর্য্যন্ত খেয়া জাহাজে করিয়া মালগাড়ী ও তিস্তামুখ ঘাট হইতে যাত্রী পারাপার করা হয়। ফুলছড়ি একটি স্বাস্থ্যকর স্থান। গাইবান্ধী—কলিকাতা হইতে ২৩৭ মাইল দূর। ইহা রংপুর জেলার একটি মহকুমা ও পাটের ব্যবসায়ের বড় কেন্দ্র। শহরটি ঘাঘট নদীর তীরে অবস্থিত। ইহার প্রায় সকল দিকেই জলাভূমি দৃষ্ট হয়। গাইবান্ধ হইতে ৮ মাইল উত্তর-পূর্বেব ব্ৰহ্মপুত্রের নিকটে মনাস নদীর উপর কামারজানি একটি বড় গঞ্জ ও বন্দর।