পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -দ্বিতীয় খণ্ড.pdf/৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ᎸO श्वांश्व्लांग्रं वक्षं জন্য রাখিয়া তিনি অবশিষ্ট সম্পত্তি বন্ধুবান্ধৰ দিগকে দান করেন। তাহার প্রদত্ত সম্পত্তির এক অংশ হইতে তুষভাণ্ডার জমিদারীর স্বষ্টি হয়। " তুষভাণ্ডার " দ্রষ্টব্য। s রংপুর হইতে দক্ষিণমুখে একটি রাস্ত বাহির হইয়া এই জেলার মিঠাপুকুর, পীরগঞ্জ, পলাশবাড়ী এবং গোবিন্দগঞ্জ প্রভূতি প্রসিদ্ধ স্থান হইয়া বগুড়া পৰ্য্যস্ত গিয়াছে। ইহার অধিকাংশ কামতাপুর রাজগণ কর্তৃক নিৰ্ম্মিত কামতাপুর হইতে ঘোড়াঘাট পৰ্য্যন্ত রাজপথের অংশ। রংপুর হইতে ১৮ মাইল দক্ষিণে এই রাস্তার বড় দরগা নামক স্থানে নবাৰী আমলের একটি প্রাচীন মসজিদ আছে। এখানে প্রসিদ্ধ সাধু ইসমাইল গাজীর ব্যবহূত একটি গদা রক্ষিত আছে। রংপুর হইতে প্রায় ২৪ মাইল দক্ষিণে পীরগঞ্জ থানা। থানার ৭ মাইল পশ্চিমে অবস্থিত কাটাছুয়ার গ্রামে গাজী ইসমাইলের মস্তক সমাহিত আছে। ইহাও মুসলমান দিগের একটি পবিত্র স্থান। ইসমাইল গাজীর সম্বন্ধে জানা যায় যে আরব দেশ তাহার জন্মভূমি। ভারতবর্ষে ভাগ্যাম্বেষণ করিতে আসিয়া তিনি সম্রাট বারবাক শাহের সময়ে গৌড় রাজ্যের সেনা বিভাগে প্রবিষ্ট হন। গৌড় বিজয়ী প্রসিদ্ধ মহম্মদ-বিন-বখতিয়ার খিলজি আসাম বিজয়ে বিফল হওয়ার পর সম্রাটের আদেশে ইসমাইল গাজী কামরুপ রাজের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করেন এবং যুদ্ধে তাঁহাকে পরাস্ত করিয়া সম্রাটের করদ রাজা ৰূপে পরিণত করেন। কথিত আছে, ঘোড়াঘাটের হিন্দুরাজা তাহার প্রতিপত্তি দেখিয়া ঈর্ষান্বিত হইয়া সম্রাট দরবারে তাহার নামে সম্রাটের বিরুদ্ধে কামরুপ রাজের সহিত ষড়যন্ত্র করিবার অভিযোগ আনয়ন করেন। ইহাতে ক্রুদ্ধ হইয়া সম্রাট ইসমাইলের শিরশেছদের আজ্ঞা দেন। প্রবাদ, যে ইসমাইলের ছিন্ন মস্তক কাটাদুয়ারে এবং মুণ্ডহীন দেহ হুগলী জেলার অস্তগত জাহানাবাদে (বর্তমান আরামবাগ) গিয়া পড়ে। এই অন্তত ব্যাপার লক্ষ্য করিয়া লোকে ইসমাইলকে পীর জ্ঞানে তাহার দেহ ও মস্তকের সমাধিস্থলকে পবিত্র বলিয়া বিবেচনা করে। কাটাদুয়ারের মসজিদের সংলগ্ন বহু পীরোত্তর জমি আছে। এপীরগঞ্জ বানা হইতে ৬ মাইল দক্ষিণে চত্রাগ্রামে কামতাপুর বাজ নীলাম্বরের একটি বিস্তৃত দুগের ধৃংসাবশেষ দৃষ্ট হয়। পীরগঞ্জ ও চারার মধ্যে বড়বিল নামে ৩ বৰ্গ মাইল ব্যাপী একটি বিল দৃষ্ট হয় ; ইহার দক্ষিণেও রাজা নীলাম্বরের গড়ের ধংসাবশেষ দৃষ্ট হয়। - রংপুর হইতে ১৭ মাইল দক্ষিণে উপরিউক্ত পুরাতন রাজপথের কিছু পশ্চিমে, বড় দরগাহের প্রায় ৩ মাইল উত্তর-পশ্চিমে উদয়পুরে রাজা গোপীচক্সের পুত্র ভবচন্দ্র বা উদয়চত্রের রাজধানীর ধংসাবশেষ দৃষ্ট হয়। কুড়িগ্রাম স্টেশন দ্রষ্টব্য। ভবচন্দ্র বা হবচন্দ্র রাজা ও তাঁহার গবচন্দ্র মন্ত্রীর অদ্ভুত বুদ্ধি ও বিচার পদ্ধতির বহু কাহিনী আজিও জনসমাজে প্রচলিত আছে। রবীন্দ্ৰ নাথ তাঁহার হিংটং ছট্‌ কবিতা এইরূপে আরম্ভ করিয়াছেন — - স্বপ্ন দেখেছেন রাত্রে হবুচত্র ভূপ - অর্থ তার ভাবি ভাবি গৰুচন্দ্র চুপ। .. " ভূতছাড়া—পাবর্বতীপুর জংশন হইতে ৩০ মাইল দূর। রংপুর জেলায় তামাকের ব্যবসায়ের ইহা একটি প্রধান কেন্দ্র ; সুদূর বর্ম হইতে মগ ব্যবসায়ীর প্রতি বৎসর তামাক কিনিবার জন্য এখানে আসিয়া থাকেন । তিস্ত জংশন—পার্বতীপুর জংশন হইতে ৩৮ মাইল দুর। কাউনিয়া জংশন ও এই স্টেশনের মধ্যে তিস্তা নদীর উপর একটি রেলওয়ে সেতু আছে। -