পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূর্ববঙ্গ রেলপথে বাংলাদেশ $ 6 මී সামান্যমাত্র পুড়িয়াছিল, কিন্তু নীচেকার ধান বেশ ভালই ছিল। ঐ ধান বিক্রয় করিয়া রুপান্তি বিপুল অর্থলাভ করেন এবং উহা হইতেই তাহার বিপুল ঐশ্বর্যোর সূত্রপাত হয়। প্রতিবৎসর সমস্ত জ্যৈষ্ঠমাস ধরিয়া আড়ংঘাটায় যুগলকিশোরের মেলা হয়। মেলার ঘাত্ৰিগণের মধ্যে মহিলার সংখ্যাই অধিক । মহিলাদের মধ্যে একটি বিশ্বাস প্রচলিত আছে যে জ্যৈষ্ঠমাসে যুগলকিশোরকে দর্শন করিলে ইহ বা পরজন্মে বৈধব্য ভোগ করিতে হয় না। যুগলকিশোরের মন্দিরের দক্ষিণে অপর একটি প্রাচীন মন্দিরে গোপীনাথজীউ বিগ্রহ প্রতিষ্ঠিত আছেন। প্রবাদ, আড়ংঘাটায় যুগলকিশোরের স্থাপনার পূর্ব হইতেই এক্ট বিগ্রহ এখানে বর্তমান । বুড়শিবের মন্দির, শিবনিবাস ( প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সৌজন্তে । মাজদিয়া -কলিকাতা হইতে ৬৫ মাইল দূর। এই স্টেশনের পূর্ব নাম ছিল শিবনিবাস। স্টেশন হইতে শিবনিবাস দুই মাইল দূর। শিবনিবাস মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র কর্তৃক অষ্টাদশ শতাব্দীর প্রথমভাগে প্রতিষ্ঠিত হয়। কথিত আছে, নসরত থা_নামক জনৈক দস্যকে দমন করিবার জন্য কৃষ্ণচন্দ্র এই স্থানে উপস্থিত হইয় শিবির সন্নিবেশ করেন। প্রাতঃকালে তিনি নদীতে মুখ প্রক্ষালন করিতেছেন, এমন সময়ে একটি রোহিত মৎস্য জল হইতে লাফাইয় তাহার কোলের উপর গিয়া পড়ে। ইহা দেখিয়া রাজজ্যোতিষী বলেন “মহারাজ ! রাজভোগ্য রোহিত মৎস্য যখন আপনা হইতেই আপনার অঙ্কে লাফাইয়া পড়িয়াছে তখন এই স্থান রাজবাসের একান্ত উপযুক্ত, আপনি এখানে একটি নগর প্রতিষ্ঠা করুন। ” এই স্থানটির