পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/২৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পূৰ্ব্ববঙ্গ রেলপথে বাংলাদেশ R©Ꮌ রিমোহন মুখোপাধ্যায়ও কৃষ্ণনগরের অধিবাসী ছিলেন। বাংলা ভাষায় বহু বালবোধ্য বৈজ্ঞানিক গ্রন্থরচয়িতা শান্তিনিকেতনের অধ্যাপক সুপ্রসিদ্ধ জগদানন্দ রায়ও কৃষ্ণনগরের লোক ছিলেন। পুণ্যশ্লোক শিক্ষাব্রতী রামতন্তু লাহিড়ী মহাশয়ও এখানকার অধিবাসী ছিলেন । কৃষ্ণনগরে “সর ভাজা” ও “সরপুরিয়া” নামক মিষ্টান্ন বিশেষ বিখ্যাত। নৃসিংহদেবের মুপ্তি, দেপাড় কৃষ্ণনগরের দুই মাইল দক্ষিণে দোগাছিয়া গ্রামে প্রতিবৎসর অগ্রহায়ণ মাসের শুক্ল চতুর্দশীতে মূলার মহোৎসব উপলক্ষে একটি মেলা হয়। এই সময়ে বৈষ্ণবশ্রেষ্ঠ নিত্যানন্দ প্রভুর একটি পাগড়ী প্রদর্শিত হয়। 独 কৃষ্ণনগর হইতে তিন মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে দেবপল্লী বা দেপাড়া নামে একটি প্রাচীন স্থান আছে। এই স্থানে নৃসিংহদেবের একটি অতি প্রাচীন বিগ্রহ আছে। এতদঞ্চলে এই নৃসিংহের মাহাত্ম্য খুব বেশী। ইহার প্রসাদী অল্পের দ্বারা স্থানীয় নবজাত শিশুর অন্নপ্রাশন হইয়া থাকে। নদীয় রাজ বংশের প্রদত্ত ভূসম্পত্তির আয় হইতে এই দেব