পাতা:বাংলায় ভ্রমণ -প্রথম খণ্ড.pdf/২৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাংলার রাজধানী কলিকাতা × (ჯ বুতামট, কলিকাতা ও গোবিন্দপুরের অধিকার লাভ করার পর হইতে কোম্পানি দপ্তরের কাগজপত্রে কেবলমাত্র কলিকাতার নাম ব্যবহার করিতে আরম্ভ করেন এবং সুতানুট ও গোবিন্দপুরের নাম ক্রমশঃ লুপ্ত হইয়া যায়। বৰ্ত্তমানেও কলিকাতার বাংলা দলিল প্রভৃতিতে পরগণা সুতানুটী এই নামটি কেহ কেহ ব্যবহার করিয়া থাকেন। কলিকাতা নামের প্রাধান্ত সম্বন্ধে জনশ্রুতি এই যে পর্তুগীজগণ “কালীকটের” দ্রব্যাদি যুরোপে বহু মূল্যে বিক্রয় করিত বলিয়া ইংরেজ কোম্পানিও কালীকট নামের সহিত সাদৃশ্বযুক্ত “ক্যালকাটা” বা কলিকাতার নাম নিজেদের সেরেস্তায় পত্তন করেন। ফোর্ট বা দুর্গ— কলিকাতায় অবস্থানের পর হইতেই ইংরেজ কোম্পানি নিজেদের এলাকায় একটি দুর্গ নিৰ্ম্মাণ করিবার জন্য উৎসুক ছিলেন। কিন্তু নবাবের অনুমতি না পাওয়ায় বহুদিন যাবত এই উদ্দেশ্য সিদ্ধ হয় নাই । অতঃপর চিতোয়া-বরদার রাজা শোভা সিংহের বিদ্রোহ উপলক্ষ করিয়া তাহারা নবাবের নিকট হইতে বাণিজ্য-কুঠি সুরক্ষিত করিবার জলহস্তী, আলিপুর চিড়িয়াপান অনুমতি লাভ করেন এবং ১৬৯৭ খৃষ্টাব্দে ভাগীরথীর তীরে একটি তুর্গ নিৰ্ম্মাণ করেন । লালদীঘির পশ্চিম পাড়ে বৰ্ত্তমান জেনারেল পোস্ট অফিস ও ঈস্ট ইণ্ডিয়ান রেলের প্রধান কাৰ্য্যালয় যে স্থানে অবস্থিত এই দুর্গটি সেই স্থানে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। ১৭৫৬ খৃষ্টাব্দে নবাব সিরাজ-উদ-দৌল কলিকাতা আক্রমণ করিয়া এই দুর্গটি অধিকার করেন ও ইহার